|
|
|
|
সাজেশন বিক্রি চক্রের শিকড় গভীরে, সন্দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল থাকা সাজেশন বিক্রির অভিযোগে ধৃত চার জনের মধ্যে তিন জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে ওই সাজেশন বিক্রির সময় মিঠুন সিংহ, প্রশান্ত দাস ও সুকেশ মণ্ডলকে ধরে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পরে শহরের একটি ফটোকপি দোকানের কর্মী সঞ্জয় দাসকে ধরা হয়। সঞ্জয়ের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের নৃপেন পল্লিতে। রবিবার অভিযুক্তদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে মিঠুন, প্রশান্ত ও সুকেশকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে এবং সঞ্জয়কে দশ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়।
পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শহরের কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে কয়েক দিন ধরেই টাকার বিনিময়ে ফটোকপি করা সাজেশন বিক্রি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল। গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক-ভূগোল পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব জয়ন্তী জানাকেই পরীক্ষার্থী ভেবে সাজেশন বিক্রি করে ওই চক্রটি। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ অনুপকুমার দে-এর নজরে আনেন জয়ন্তীদেবী। শনিবার ইতিহাস পরীক্ষা শুরুর আগে যথারীতি ওই চক্রটি মোটা টাকার বিনিময়ে সাজেশন বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সাদা পোষাকের পুলিশ এসে অতর্কিতে তিন জনকে বেশ কিছু সাজেশন সমেত পাকড়াও করে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে জালিয়াতির অভিযোগে ধরে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ইতিহাসের প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের যে সাজেশন পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের একাংশের ধারণা, প্রশ্নফাঁস না হলে উত্তরপত্রের এমন মিল হওয়া অসম্ভব! পুলিশের একাংশের ধারণা, ধৃতেরা চুনোপুঁটি। চক্রের চাঁইদের ধরা গেলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ওই সাজেশান চক্র সক্রিয়। ঝাড়গ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় ওই চক্রের কয়েকজন পাণ্ডা রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। |
পুরনো খবর: প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কায় গ্রেফতার চার |
|
|
|
|
|