এগরায় একক ক্ষমতায় তৃণমূল
লদিয়ার পরে এগরা। পূর্ব মেদিনীপুরের আর একটি পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। এগরার কংগ্রেস পুরপ্রধান স্বপন নায়ক-সহ দলের চার কাউন্সিলর শনিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নতুন যে সমীকরণ তৈরি হয়েছে, তাতে পুর-বোর্ড এ বার একক ভাবে তৃণমূল পাবে।
কলকাতায় তৃণমূল ভবনে এ দিন বিকেলে এসে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেসের এগরা মহকুমা সভাপতি স্বপন নায়ক এবং তিন কাউন্সিলরবিশ্বজ্যোতি মাইতি, রুনুবালা নায়ক এবং দুর্গারাম শীট। তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ওই কাউন্সিলরদের তৃণমূল ভবনে নিয়ে আসেন। এই দলবদলের ফলে ১৪ আসনের (এক জন কাউন্সিলরের মৃত্যুতে বর্তমান আসন ১৩) এগরা পুরসভার আটটি আসন তৃণমূলের দখলে এল।
পার্থবাবু বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, তাতে যোগ দিতেই ওঁরা তৃণমূলে এলেন।” একই বক্তব্য দলত্যাগীদের। শুভেন্দু বলেন, “এগরায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছিল। কংগ্রেস, তৃণমূলের চার জন করে কাউন্সিলর ছিলেন। বামফ্রন্টের ছিলেন ছ’জন। এখন তৃণমূলের কাউন্সিলর আট জন।” ২০০৯-এ পুর-নির্বাচনে যৌথ বোর্ড হওয়ার পরে স্থির হয়, আড়াই বছর পুরপ্রধান থাকবেন কংগ্রেসের, পরের আড়াই বছর তৃণমূলের। কংগ্রেস কাউন্সিলর স্বপন নায়ক পুরপ্রধান হন। উপ-পুরপ্রধান হন তৃণমূলের বীরেন নায়ক। আড়াই বছর পরে অবশ্য কংগ্রেস পুরপ্রধান পদ ছাড়েনি। তা নিয়ে বিরোধ হলেও তৃণমূল সমর্থন তুলে নেয়নি।
ইতিমধ্যে এক বাম (ডিএসপি) কাউন্সিলর লক্ষ্মীপ্রিয়া দাস কংগ্রেসে যান। তবে তিনি কিছু দিনের মধ্যেই মারা যান। তখন সিপিআই কাউন্সিলর দুর্গারাম শীট কংগ্রেসে আসেন। কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা পাঁচ, বামেদের চার এবং তৃণমূলের চার জনকে নিয়ে বোর্ড চলছিল।
সম্প্রতি কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে পুরসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছয়। তার পর থেকেই তৃণমূল একক ভাবে বোর্ড দখলের চেষ্টা করছিল। কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অসিতরঞ্জন পালের অভিযোগ, “লোভ দেখিয়ে আমাদের চার জনকে দলে টেনেছে তৃণমূল।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, “এগরায় স্বপনবাবুর নেতৃত্বেই তৃণমূলের পুরবোর্ড কাজ করবে।”
এ দিনই কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন তমলুক পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুফিয়া বেগম। ফলে তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভায় কংগ্রেসের আর কোনও কাউন্সিলর রইলেন না।

প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কায় গ্রেফতার চার
রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল থাকা সাজেশন বিক্রির সময় হাতেনাতে চার জনকে ধরল পুলিশ। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে ওই সাজেশন বিক্রির সময় ঝাড়গ্রামের নৃপেনপল্লির সঞ্জয় দাস, শালগেড়িয়ার মিঠুন সিংহ, বিনপুরের গোয়ালডাঙার প্রশান্ত দাস নয়াগ্রামের ঝরিয়ার সুকেশ মণ্ডলকে ধরে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক তথা পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুপকুমার দে বলেন, “ইতিহাস পরীক্ষার আগে প্রথম দ্বিতীয় পত্রের সঙ্গে হুবহু মিল থাকা ওই সাজেশন কী ভাবে পাওয়া গেল তা তদন্তের জন্য পুলিশকে জানিয়েছি।” পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা না জেনে মন্তব্য করব না।” আজ, রবিবার ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.