|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
|
উবাচ-এর দু’টো দিন |
|
দর্শক-শ্রোতা ও মঞ্চের কুশীলবরা মিলেমিশে একাকার! এমন অনুষ্ঠানের শুরু হলে কলারসিকদের মন কাড়ারই কথা। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ‘উবাচ’-র অনুষ্ঠান দেখে এমন অনুভূতিরই প্রকাশ দেখা গেল। কবিতা, গান এবং নৃত্যের কোলাজে গাঁথা ‘রবির আলো’ দিয়েই উদ্বোধন হয়েছিল ‘উবাচ’ আয়োজিত দু’দিনের শ্রুতি নাট্য উৎসবের। স্কুলে স্কুলে খোঁজখবর করে নানা রকম প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যে সব পড়ুয়া ভাল ফল করে চলেছেন, তাদের চিহ্নিত করে সম্বর্ধনা ও সম্মান জানাল ‘উবাচ’। যা অনুষ্ঠানকে একদম ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। উবাচ-এর কর্ণধার পারমিতা দাশগুপ্ত জানান, তাঁরা একেবারেই অবাণিজ্যিক চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসীদের নিয়েই পথ চলছেন যাঁরা মানবিক ও সংবেদনশীল পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মেধাবী পড়ুয়াদের বাছাই করে কাছে টেনে ‘সামান্য স্বীকৃতি’ দেওয়ার পথে চলা শুরু করেছেন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী পার্থপ্রতিম মিত্রকে ‘উবাচ অক্ষরকর্মী সম্মান-২০১৩’ দেওয়া হয়। উবাচের পত্রিকা ‘কলমে-সৃজনে’ প্রকাশের পাশাপাশি একাধিক শ্রুতি নাটক, কবিতা কোলাজ দর্শকদের মুগ্ধ করে। এবার সুরজ প্রধান, নন্দিনী রায়, শ্রেয়া সুরানা, মাধুরী পাল, মনোরঞ্জন বর্মন, মানিক বর্মন, রতন বর্মন, প্রিয়াঙ্কা দত্ত, দিশা রায় চৌধুরী এবং পূণির্মা রায়কে ‘মেধা সম্মান’ দেওয়া হয়। প্রাপকরা সকলেই সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। অনুষ্ঠান গ্রন্থিত করে রাখে অমিতাভ ঘোষের সুচারু সঞ্চালনা। দ্বিতীয় দিনে ‘আবোল তাবোলে ছোটরা’, কবিতা কোলাজ ‘কবিতার ক্যানভাসে মেয়েদের গল্প’ সহ কয়েকটি শ্রুতি নাটক মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় কবির ‘মাল্যদান’ শ্রুতি নাট্যরূপের মাধ্যমে। উপস্থাপনার দায়িত্বে অতনু চৌধুরী, অর্পণা চক্রবর্তী।
|
প্রয়াণ-দিবস পালিত |
৯ সেপ্টেম্বর রাজবংশী সমাজ সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রয়াণ দিবস পালন করল লাটাগুড়ি অঞ্চল পঞ্চানন ঠাকুর স্মারক সমিতি। ক্রান্তি মোড়ে জাতীয় সঙ্ঘ ক্লাবের মাঠে পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে মালা দেন লাটাগুড়ি অঞ্চল প্রধান মণি রায়। মাল পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি কৌশল্যা রায়, লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ক্ষিতীশচন্দ্র সরকার প্রমুখ সেখানে হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে শোভাযাত্রার পাশাপাশি ছিল আঁকা এবং আবৃত্তি। সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
|
রাজ্য-সেরা ডিপিএস |
শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুল রাজ্যের মধ্যে সেরা ‘ডে কাম বোর্ডিং স্কুল’ হিসাবে চিহ্নিত করল নেশন এডুকেশন ওয়ার্ল্ড নামে একটি শিক্ষা সংক্রান্ত ম্যাগাজিন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৪টি আলাদা বিভাগে বিচার করে তকমা দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুল ছাড়াও রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ও কালিম্পঙের এক স্কুল ওই তালিকায় আছে। শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুল জাতীয় স্তরে ৪৭ নম্বর স্থান পেয়েছে।
|
গুণিজন সংবর্ধনা |
সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে অনুষ্টিত হল তীর্থ সাহিত্যিক সংস্কৃতি সঙ্ঘের মুখপত্র ‘মানসী’ পত্রিকার উদ্বোধন ও গুণি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আনন্দগোপাল ঘোষের ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। গুণিজন সংবর্ধনা, ‘মানসী’, পত্রিকার স্মৃতিচারণের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিল স্বরচিত কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান। ড. শীলা দত্ত ঘটক ও চামেলি সাহার সঞ্চালনা অনুষ্ঠানটি মনোগ্রাহী করে তুলেছিল।
|
উদ্যোগী ‘কণ্ঠস্বর’ |
আবৃত্তি পাঠ এবং শ্রুতি অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দিতে সম্প্রতি শিলিগুড়িতে এসেছিলেন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন। ২১-২২ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ কক্ষে - ‘কণ্ঠস্বরের’ উদ্যোগেই ওই শিবির আয়োজিত হচ্ছে। শিলিগুড়ির আবৃত্তি শিল্পীরা ওই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|