|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী, দুই অর্থে |
বইপোকা |
বঙ্গভাষায় প্রকৃত গবেষণাগ্রন্থ ক্রমেই অবলুপ্তির পথে। এই কাল ক্ষুদ্রের কাল। পরিশ্রমী গবেষণায় একটি স্মরণীয় মহীরুহ নির্মাণে আগ্রহী জন এখন প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতি। গবেষণা বলিতে এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরাতনের পূর্বানুবৃত্তি। পুরাতন বিবিধ গ্রন্থ হইতে আহরণ করিয়া আপন নামে চালাইবার অপপ্রয়াস। তবে সেই প্রয়াসে এখন কিঞ্চিৎ কাঁটা পড়িয়াছে। প্রথমত রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সৌজন্যে বহু পুরাতন দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সর্বজনগম্য হইয়া চলিয়াছে। দ্বিতীয়ত বেশ কিছু প্রকাশক পুরাতন দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের নূতন প্রকাশ ঘটাইতেছেন। সেই সকল নূতন প্রকাশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেনতেনপ্রকারেণ মুদ্রিত। তবু দুই একটি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার মতো। যেমন, কবিবর কহ্লন প্রণীত সংস্কৃত কাশ্মীর-রাজতরঙ্গিণী-র বঙ্গানুবাদ সুশোভন নির্মাণে প্রকাশ করিয়াছে পারুল প্রকাশনী। ১৯১২-য় হরিলাল চট্টোপাধ্যায়ের এই অনুবাদটি প্রকাশিত হইয়াছিল। শতবর্ষ অতিক্রম করিয়া তাহা পুনঃপ্রকাশিত হইল অমিত ভট্টাচার্যের সম্পাদনায়। গ্রন্থে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক আলোকচিত্র মুদ্রিত হইয়াছে। তাহাদের মুদ্রণমান বঙ্গীয় গ্রন্থে প্রকাশিত আলোকচিত্রের বিচারে যথেষ্ট উন্নত। কাগজ, বাঁধাইও যথেষ্ট ভাল। সাধারণত এই প্রকার ‘অ্যাকাডেমিক’ গ্রন্থ যথাসম্ভব শস্তায় মুদ্রণ করাই বঙ্গীয় বইপাড়ার প্রচলিত দস্তুর। সেই বিচারে ইহা ব্যতিক্রম। আরও একটি ব্যতিক্রম আছে। গ্রন্থের আখ্যাপত্রে মুদ্রিত হইয়াছে, ‘দুষ্প্রাপ্য রাজতরঙ্গিণী বইটি শ্রীপরিতোষ ভট্টাচার্যের সৌজন্যে প্রাপ্ত’। গ্রন্থসংগ্রাহক সাধারণত এমন মর্যাদা হইতে বঞ্চিতই থাকেন। |
|
|
|
|
|