গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত শান্তনু বিশ্বাসের লেখা ‘নিষ্প্রভ বেরা উৎসব’ শীর্ষক পত্রে তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি লিখেছেন, “বেরা উৎসব মুর্শিদাবাদের সুপ্রাচীন এক নিজস্ব উৎসব। মুর্শিদাবাদ ছাড়া এই উৎসব আর কোথাও হয় না।’’ ওই তথ্য যথার্থ নয়। ঢাকাতেও বেরা উৎসব সমারোহে পালিত হত। ঢাকার নবাব মকর খাঁর রাজত্বকালে বেরা উৎসবের কথা জানতে পারা যায়। আজও মুর্শিদাবাদের মতোই বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বেরা উৎসব পালিত হয়। প্রকৃত পক্ষে বেরা, বা ভেলা ভাসান পরব জল দেবতা খাজা খিজিরের স্মরণোৎসব। মুসলমান ছাড়াও জলিক ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব পালন করেন। লোকবিশ্বাস-- খাজা খিজির রোগ ব্যাধি থেকে মানুষকে মুক্তি দেন এবং নদ-নদী ও সমুদ্রে যাত্রাকালীন মৎস্যজীবী ও যাত্রীদের রক্ষা করেন। বেরা অনুষ্ঠান তথা খাজা খিজির উৎসবের দৃশ্য প্রাচীন চিত্রকরদের ছবিতে দেখতে পাওয়া যায়। লর্ড ক্লাইভের কাছেও এই উৎসবের একটি ছবি ছিল। সেই ছবিটি ক্লাইভের উত্তরসূরীদের কাছে আজও বর্তমান।
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি
|
কালীগঞ্জ ব্লকের সদর শহর দেবগ্রামে প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি অফিস রয়েছে। কাজের সুত্রে সেখানে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। চাকরি সূত্রে দেবগ্রাম বাসস্টপ বা স্টেশন থেকে অনেক লোক দূরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকার গ্রাস করে দেবগ্রামের রাস্তাগুলোকে। বাসস্টপ, চৌরাস্তা মোড়, কাটোয়া মোড় ও বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনও পথবাতি নেই। ফলে রাতের অন্ধকারে বাসস্টপ বা স্টেশনে যাতায়াতের সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় মানুষকে। মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার কথা তো বলার নয়। মাননীয় সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় প্রশাসকদের কাছে অনুরোধ, পথবাতির ব্যবস্থা করে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক থেকে সবাইকে রক্ষা করুন।
রাজা সিংহ, দেবগ্রাম
|
আমি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের পদার্থবিদ্যার অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। কৃষ্ণনাথ কলেজের কাছাকাছি বহরমপুর শহরের সব চেয়ে অভিজাত সিনেমা হল বলে খ্যাত মোহন টকিজের গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু বিপরীত। টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলাম দীর্ঘ সময় ধরে কাউন্টার বন্ধ। হলের ভিতরে বসার আসন গুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়, পাখা ঠিকঠাক ঘোরে না। এই শহরে কি একটা মাল্টিপ্লেক্স গড়ে উঠতে পারে না? অপর্ণা কুণ্ডু, গোরাবাজার |