|
|
|
|
রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া রিপোর্টে নেই নতুনত্ব
সংবাদ সংস্থা • রাষ্ট্রপুঞ্জ |
ছ’বছর আগে যা বলেছিল, এ বারও সেই কথা বলল রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাতে পড়বে মানুষ। আর তার জন্য দায়ী সে নিজেই। নতুন কিছুই শোনা গেল বিজ্ঞানীদের মুখে।
বিজ্ঞানীরা বললেন, আরও ঘন ঘন স্যান্ডি কিংবা ক্যাটরিনার মতো মারণ-ঝড়ের মুখে পড়বে মানুষ। ওকলাহোমার মতো শহরের পর শহর গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে টর্নেডো। ধুয়ে দিয়ে যাবে বন্যার জল। ঠিক যেমনটা হয়েছে কলোরাডোয়। আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণের জন্য মানুষই যে অনেকাংশে দায়ী, সে বিষয়ে তাঁরা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত।
পাঁচ-ছ’বছর অন্তর আইপিসিসি তাদের বিশ্ব উষ্ণায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে রয়েছে ৩৯টি দেশের প্রায় আড়াইশো গবেষকের কাজ। এর পর আরও হাজারের বেশি গবেষক খতিয়ে দেখেন রিপোর্ট। সাহায্য করেন আরও ৮৫টি দেশের সাড়ে আটশো গবেষক।
সকলেই একমত গত শতকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা আবহাওয়ার ভোলবদলের অর্ধেক দায় মানুষের কাঁধেই বর্তায়।
কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণার ফলাফলে কোনও নতুনত্ব নেই। ২০০৭ সালেও একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কয়েক বছরে তার প্রমাণও মিলেছে। জাপানের ভূমিকম্প, কলোরাডোয় বন্যা, মার্কিন মুলুকে স্যান্ডি। বিজ্ঞানীরা বলছেন আরও ঘন ঘন এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হবে মানুষ। গরমে মেরু প্রদেশের বরফের টুপি গলে যাবে। সমুদ্রের জলস্তর উঠবে। ১৯০১ সালের পর থেকে সমুদ্রের জলস্তর ১৯ সেন্টিমিটার উঠেছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই শতাব্দীর শেষে হয়তো ২৬-৮২ সেমি বাড়বে। আগামী একশো বছরে গড় উষ্ণতা বাড়বে ০.৩-৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও গত ১৫ বছরে উষ্ণতা মাত্র ০.০৫ ডিগ্রি বেড়েছে।
তবে উষ্ণায়নের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। আইপিসিসি-র সহ-অধিকর্তা টমাস স্টকার বলেন, “আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই।” জানান, “গরমে উষ্ণপ্রবাহ আরও বেশি হবে। বর্ষাপ্রবণ অঞ্চলে আরও বৃষ্টি হবে, শুষ্ক অঞ্চলে আরই খরা হবে। যদিও ব্যতিক্রমী কিছু ঘটতেই পারে।” |
|
|
|
|
|