|
|
|
|
সৎমাকে খুনে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দলবল নিয়ে সৎ মাকে খুন করার অভিযোগে ছেলে-সহ দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কৃষ্ণা পোদ্দার এই সাজা শুনিয়েছেন। প্রত্যেকের দশ হাজার টাকা করে জরিমানাও হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড শুনিয়েছেন তিনি। সরকার পক্ষের প্রধান আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় জানান, সাজাপ্রাপ্তরা হল সৎ ছেলে শেখ কামরুদ্দীন ও তার দুই সঙ্গী শেষ আব্বাস ও শেখ আজমল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের নিরশা থানার মদনপুর গ্রামে স্বামী মুস্তফার সঙ্গে থাকতেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী আসিদা বেগম। ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আসিদা বেগমের মুণ্ডুকাটা দেহ উদ্ধার হয় সালানপুর থানার নুনের পুকুর থেকে। পুকুরে স্নান করতে নেমে মেলেকোলা গ্রামের শ্যামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় দেহটি দেখতে পান। তিনিই পুলিশে খবর দেন। খোঁজাখুঁজির পরেই মহিলার মুন্ডুটি উদ্ধার হয় পাশের জঙ্গল ঘেরা পরিত্যাক্ত খাদান থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলার স্বামীকে প্রথমে গ্রেফতার করে। তার বয়ান অনুযায়ী সৎ ছেলে ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ জানতে পারে, আসিদা বিবি মুস্তফার সমস্ত সম্পত্তির বৈধ নমিনি ছিলেন। সেটাই মানতে পারেনি তাঁর সৎ ছেলে শেখ কামরুদ্দিন। তখনই মাকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার নাম করে আসিদাকে নিয়ে বেরোয় কামরুদ্দীন ও তার দুই সঙ্গী। সালানপুরে এনে তাঁকে খুন করে তারা। গত ছ’বছর ধরে মোট ১৮ জন সাক্ষীর বয়ান নেন সরকারি আইনজীবী। মামলা চলাকালীন পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় মুস্তফা। সে এখনও নিখোঁজ। |
|
|
|
|
|