ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়িতে ৬ জনের মৃত্যুর পরেও পুরসভা, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের হেলদোল নেই। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর রোগী চিকিৎসা করাতে আসছেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিংহোমগুলিতে। বৃহস্পতি বার পর্যন্ত ডেঙ্গিতে শিলিগুড়ি পুর এলাকা, মহকুমার অন্য অংশে আক্রান্ত সংখ্যা পৌঁছেছে হাজারের কাছে। লাগোয়া জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের অংশে আক্রান্ত রয়েছেন আরও ১০০ জন। তাও সচেতনতা প্রচারে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ দিন তৎপরতার অভাব দেখা গিয়েছে। এ দিনও তারা দেখছি-দেখব করেই কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এসএফ রোডের বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকালে একটি নর্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে যে যুবক বিকাশ কুমার ঝাঁর, তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ ববি হাকিমকে ফোন করে তাঁর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজের তদারকির অনুরোধ করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফোন করেন পুর সচিব জি গোপালিকাকেও। |
পুর কর্তৃপক্ষকে নানা ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে। এ নিয়ে পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের টানা পোড়েন চলছেই। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। না পেলেও আমাদের তরফে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইপিপি-৮-এর কর্মীরা সচেতনতা প্রচারের কাজ শুরু করছেন এ দিন থেকেই। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে মাইকিং করার কাজও শুরু হবে।”
প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, দশরথপল্লির বাসিন্দা ভিকি সরকার। তাঁর মা অনিমা সরকার বলেন, “ওষুধ, রক্তপরীক্ষা সব নিজের খরচেই করতে হয়েছে।” অগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি শহরে বসবাসকারী ১৫ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত জানান, অগস্ট থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ম করে মশা মারা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চলছে। পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমাগত বেড়ে চলছে। সেখানে যাতায়াতের কারমে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন।
|