|
|
|
|
জন পরিষেবা অধিকার আইন
বুঝে নিন অধিকার |

মানুষ যাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ঠিক সময়ে পান, তা সুনিশ্চিত করতে জন পরিষেবা অধিকার আইন
তৈরি করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজ্যপাল বিলটিতে সই
করেছেন। ক্রেতা সুরক্ষা
সচিব বিবেক ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ১ নভেম্বর থেকে সারা রাজ্যে ওই আইনটি কার্যকর
হবে।
জন
পরিষেবা অধিকার
আইনটি আসলে কী এবং তা কার্যকর হলে মানুষের কী সুবিধা হবে তা নিয়ে এই প্রতিবেদন। |
 |
আইনটি কী?
সরকারি পরিষেবা পেতে মানুষের হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই আইন। |
কী সুবিধা হবে?
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিতে না পারলে জরিমানা হবে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকের। |
জরিমানা কত?
দৈনিক ২৫০ টাকা, সর্বোচ্চ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট অফিসারের সার্ভিস বুকেও বিষয়টি তোলা হবে। |
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেউ কাজ শেষ করলে?
সংশ্লিষ্ট অফিসারকে আর্থিক পুরস্কার। সার্ভিস বুকেও তোলা হবে। |
এমন আইন কি পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম?
না। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটকে আগেই হয়েছে। |
আইনটি কার্যকর হচ্ছে কি না, কে দেখবে?
প্রতি দফতরে একটি সেল থাকবে। পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। |
প্রথম দফায় ক’টি দফতর এই আইনের আওতায়?
১২টি। ভূমি ও ভূমিসংস্কার, স্কুল শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, পরিবহণ,
খাদ্য ও সরবরাহ,
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, কৃষি, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পুর ও
নগরোন্নয়ন,
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং অনুন্নত শ্রেণি দফতর। |
আইন সম্পর্কে কোথায় জানবেন?
জন অধিকার নিয়ে রাজ্যের ওয়েব সাইট www.publicservicesright.in-এ |
|
|
 |
আসি যাই মাইনে পাই-এর দিন এ বার শেষ হতে
চলেছে। নতুন এই আইন বলে
সব দফতরের
অফিসারদের
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
সাধন পাণ্ডে
ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী |
 |
|
|
কত দিনে কোন পরিষেবা |
(আপাতত খাদ্য ও সরবরাহ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি দফতরগুলির ক্ষেত্রে তা পর্যায়ক্রমে জানানো হবে। নথিপত্র ঠিক থাকলে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিতে হবে।) |
|
৩-৬ মাস: সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ঋণ, মেরিট কাম মিনস্ স্কলারশিপ,
পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, হাজি মহম্মদ মহসিন স্কলারশিপ। |
৩ মাস: এনবিসিএফডিসি’র টার্ম লোন। |
৩০ দিন: নতুন রেশন কার্ড পেতে, রেশন কার্ডে নাম, ঠিকানা, বয়স বা পরিবারের
কর্তার নাম বদল করতে, নষ্ট হলে, হারিয়ে গেলে ডুপ্লিকেট রেশন কার্ড পেতে। |
১৫ দিন: রেশন কার্ড সমর্পণ করে অন্য জায়গায় করতে, বাতিল হওয়া রেশন কার্ড পুনর্ব্যবহার যোগ্য করতে,
ডুপ্লিকেট মার্কশিট, অ্যাডমিট এবং সার্টিফিকেট পেতে (মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক), মার্কশিট, অ্যাডমিট এবং সার্টিফিকেটে ভুল থাকলে সংশোধন করতে (মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক), মাইগ্রেশন (মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক)। |
|
|
প্রতিবেদন: অনুপ চট্টোপাধ্যায |
পুরনো খবর
• ‘আসি যাই মাইনে পাই’ বদলাতে বিল রাজ্যের
• কাজের জন্য ইনাম কেন, প্রশ্ন পরিষেবা বিলে |
|
|
 |
|
|