ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে চলতি মাসের ৭ তারিখে। তারপরও টিএমসিপির যুযুধান দুই গোষ্ঠীর চাপে পড়ে শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষ কাউন্সেলিং ছাড়াই ছাত্র ভর্তি নিয়েই চলেছেন। এই অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। এখনও অবধি প্রথম বর্ষের হাজিরার খাতা চালু করতে পারেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনার্সের বিভিন্ন বিষয়ে আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলা, ইতিহাস ও ইংরেজির মত চাহিদা সম্পন্ন বিষয়গুলিতে আসনের অতিরিক্ত ৩৫ থেকে ৪০ জন পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্নাতক সাধারণে আসন সংখ্যা সাড়ে আটশো। কিন্তু ভর্তি নেওয়া হয়েছে প্রায় দেড় হাজার জনকে।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে কলেজ কর্তৃপক্ষের এই প্রলম্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া চালানো নিয়ে সরব হয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক তথা কলেজের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অজয় দে। তিনি বলেন, “হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে অনার্সে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। কোনও কাউন্সেলিং হচ্ছে না। টিএমসিপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার অধ্যক্ষ ৮০ জনকে ভর্তি নেন। অন্য গোষ্ঠী এ জন্য অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে। বুধবার ঘেরাও থেকে মুক্তি পেতে অধ্যক্ষ টিএমসিপির অপর গোষ্ঠীর দাবি মেনে আরও ৫৩ জনকে ভর্তি নিতে সম্মত হয়েছেন। এ সব মানা যায় না। দেরিতে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন পেতে সমস্যা হবে। টাকার বখরা নিয়ে টিএমসিপি নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। দিন কয়েক আগেই কলেজে বোমা পড়েছে।”
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “চাপে পড়েই এ ভাবে ভর্তি নিতে হচ্ছে।” জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “আমাদের কোনও নেতা-কর্মী যদি অবৈধ ভর্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”
দেহ উদ্ধার। নিখোঁজের কয়েক দিন পর বৃহস্পতিবার গ্রামেরই একটি আমবাগান থেকে পুলিশ এক ব্যক্তির পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল। নাম গোকুল ঘটক (৪৭)। বাড়ি শান্তিপুরের হরিপুর এলাকায়। |