নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষকে টানা এক ঘণ্টা জেরা করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সকাল ৭টা থেকে এই জেরা-পর্ব চলে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য তপনবাবু। এখন তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। জেল সূত্রে খবর, এ দিন সকালে মামলার তদন্তকারী অফিসার তীর্থঙ্কর সান্যাল অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী দেবরূপ মিদ্যার উপস্থিতিতেই তপনবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সব প্রশ্নেরই জবাব দেন গড়বেতার এই সিপিএম নেতা। জিজ্ঞাসাবাদের পর সকাল ৮টা ১০ নাগাদ তীর্থঙ্করবাবু সংশোধনাগার থেকে বেরোন।
এ দিকে, এক তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুর মামলায় এ দিনই তপন ঘোষকে ঘাটাল আদালতে তোলা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই চন্দ্রকোনার মহেশপুরের তৃণমূলকর্মী আফতাবউদ্দিন ভাঙির মৃত্যুর মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তপন ঘোষ। ওই মামলায় তপন ঘোষকে ঘাটাল আদালতে হাজির করানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করায় বৃহস্পতিবার তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় ঘাটাল আদালতে নিয়ে আসা হয়। তদন্তকারী অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে তপন ঘোষকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক রীনা তালুকদার।
এ দিনই মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয় গড়বেতার আর এক সিপিএম নেতা সুকুর আলিকে। সুকুরও নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ দিন তাঁকে যে মামলায় কোর্টে তোলা হয়, সেই ঘটনাটি ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবরের। ওই দিন সুকুরের নেতৃত্বে সিপিএমের লোকজন তৃণমূল কর্মী চুনিরাম সরেনকে গুলি করে বলে অভিযোগ। চুনিরামের বাড়ি গোয়ালতোড়ের কদমবাঁধিতে। তাঁর স্ত্রী ভারতী সরেন লিখিত অভিযোগ করেন। এই মামলায় আদালত সুকুরকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। আগামী ৯ অক্টোবর সুকুরকে ফের এই মামলায় মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হবে।
|