|
|
|
|
তৃণমূলের মহিলা প্রধানের বাড়িতে আগুন কেশপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা দেখা দেয় কেশপুরের জামিরা গ্রামে। বাড়ির আসবাবপত্র-সহ বহু জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর নেই। এ দিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী। পুলিশে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর লোকজনই আমড়াকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সাহানারা বেগমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি অভিযোগ মানছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিরও বক্তব্য, এ কাজ যারা করেছে, তারা দুষ্কৃতী।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই কী এ ঘটনা? তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “ঠিক কী হয়েছে, দেখছি। পুলিশকেও পুরো বিষয়টি জানিয়েছে।” বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। যেখানে আগুন লেগেছে, তার কাছাকাছি উনুনও নেই। তাহলে অন্য ভাবে আগুন লাগার সম্ভাবনা কোথায়? ব্লক সভাপতির বক্তব্য, “তা ঠিক। উনুনের সামনে তো আগুন লাগেনি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।” সাহানারা বেগম বলেন, “আমাদের শক্রু তো আছেই। তারা কিছু করে থাকতে পারে।” তারা কারা? প্রধানের জবাব, “যা জানানোর পুলিশকে জানাচ্ছি।”
দু’দিনের সফরে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভা করেন। এ দিন সাতসকালেই কেশপুরের এই ঘটনার খবর পৌঁছয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। দলের এক জেলা নেতার কথায়, “এমন ঘটনা সমর্থন করা যায় না। এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে, উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।”
কেশপুরে মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাধে। একাধিকবার তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও হয়েছে। কিন্তু কোনও অঞ্চল প্রধানের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেনি। জামিরা গ্রামের বাড়িতে সাহানারার বাবা-মা-দাদারাও থাকেন। এ দিন ভোর চারটে নাগাদ সাহানারার মেজো দাদা আলি আনসার মল্লিক সকলের আগে ঘুম থেকে ওঠেন। বাড়ির বাইরে এসে তিনিই দেখেন, বাড়ির একদিকে আগুন জ্বলছে। তিনিই সকলের ঘুম ভাঙিয়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসেন। সাহানারার কথায়, “মেজদাই আমাদের ঘুম ভাঙান। বাইরে এসে দেখি, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কোনও রকমে আমরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। তবে, সব আসবাব পুড়ে গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|