পাকিস্তানে ভূমিকম্প, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নালিশ |
খাদ্য-জলের অভাব তীব্র, বাড়ছে ক্ষোভ |
সংবাদ সংস্থা • ইসলামাবাদ |
কাঠফাটা রোদ্দুর। মাথার উপর থেকে ছাদটাও উধাও। বুড়ো বাবা-মা আর ছেলেমেয়েকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন পাকিস্তানের আওরানের বাসিন্দা শওকতউল্লা। মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের শিকার শউকতউল্লা দু’দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে সপরিবার রাত কাটাচ্ছেন।
শওকতউল্লা তো তবু ভাগ্যবান। তাঁর পরিবারের সবাই বেঁচে রয়েছেন। কিন্তু আওয়ারানের খুব কম ঘরই রয়েছে যাঁদের পরিবারের অক্ষত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫০। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা। অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পর্যন্ত পারেনি। সেই সঙ্গে এলাকায় তীব্র পানীয় জলের অভাব। উদ্ধারকাজে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অতিরিক্ত হেলিকপ্টার ও পণ্যপরিবাহী বিশেষ কপ্টারকে দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। |
বাড়ি বলতে অবশিষ্ট এটুকুই। ছবি: এপি। |
বালুচিন্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান আব্দুল লতিফ ককর জানিয়েছেন, ভূকম্পে এলাকার প্রায় ২১ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু এখানেই ৩০৫ জন মারা গিয়েছেন। অধিকাংশ এলাকাতেই এখনও ত্রাণকাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ ক্ষুব্ধ। তার উপর, জল-খাদ্য-ওষুধের অভাবে আর খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে কাটাতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
দুর্গতদের দেখতে সেনার দুই উচ্চপদস্থ অফিসার এবং দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের এক কর্তা কপ্টারে করে যাচ্ছিলেন। তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গ্রেনেড ছোঁড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান সেনা অফিসাররা।
|
পুরনো খবর: ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৩৫০ |
|