পরীক্ষা দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ ৭০ হাজার ৯১১ জন। কিন্তু তাতেও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাড়ে ৪৬ হাজার ফাঁকা পদের সব ক’টি ভরানো গেল না। ফাঁকা থেকে গেল প্রায় ১৬ হাজার পদ। এবং সফল প্রার্থীর অভাবে ফাঁকা থেকে যাওয়া পদগুলি মূলত গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণিবিজ্ঞানের মতো বিজ্ঞানের বিষয়ের।
প্রায় ১৪ মাস পরে, বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল জানান, সফল প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৩০ হাজার ৩৭৮টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। অক্টোবরেই কাউন্সেলিংয়ে প্রার্থীরা পছন্দের স্কুল বাছাই করতে পারবেন। পুজোর ছুটি শেষ হলেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে আশা করছেন কমিশন-কর্তৃপক্ষ।
এসএসসি-র লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল গত বছর ২৯ জুলাই। দ্বিতীয় পত্র বা টেট-এর ফল বেরোয় গত বছর ১ ডিসেম্বর। টেট-এ সফল হন এক লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৩৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৫৮৮ জন প্রথম পত্র বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সফল হয়ে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, “ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ২৪ হাজার বিএড ডিগ্রিধারী।
তাঁদের মধ্যে ২২ হাজার জনই নির্বাচিত হয়েছেন।”
এসএসসি-র পরবর্তী পরীক্ষার বিজ্ঞাপন ডিসেম্বরে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তবে ওই পরীক্ষাতেও বিএড বাধ্যতামূলক হবে না। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, “২০১৪-র ৩১ মার্চের পরে আর প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া যে-হেতু ডিসেম্বরে শুরু হবে, তাই এই পরীক্ষাটিতেও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা আবেদন জানাতে পারবেন।”
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩১ মার্চ পরীক্ষা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সেই পরীক্ষার ফল কবে বেরোবে, পর্ষদের সভাপতির কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “শীঘ্রই সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসব।
কবে পরীক্ষার ফল বেরোতে পারে, কত দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন হতে পারে সবই জানতে চাওয়া হবে তাঁর কাছে।”
|