আরও একটি মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার ফের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হবে গড়বেতার সিপিএম নেতা সুকুর আলিকে।
ঘটনাটি ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবরের। ওই দিন ভোরে গোয়ালতোড় থানার কদমবাঁধিতে তৃণমূলকর্মী চুনিরাম সরেনের বাড়ি ঘেরাও করেন সিপিএমের লোকজন। অভিযোগ, ঘেরাওয়ের নেতৃত্বে ছিলেন সুকুর। ঘরের মধ্যে ঢুকে ওই তৃণমূলকর্মীকে গুলি করা হয়। তবে তিনি মারা যাননি। ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী ভারতী সরেন সুকুর-সহ ২১ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ করেছিলেন। বুধবারই এই মামলায় সুকুরকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু, এক প্রবীণ ল-ক্লার্কের মৃত্যু হওয়ায় এদিন আদালতে কোনও মামলার শুনানি হয়নি।
গোয়ালতোড়ের পেরুয়াবাঁধের আর একটি কঙ্কাল মামলায় ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের পর সুকুর আলিকে এ দিন মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলার কথা ছিল। সেই মতো কোর্ট লক-আপে আনা হয়। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে চায়নি। ফলে নিয়ম মতো জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় সুকুরকে।
অন্য দিকে, এ দিনই নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় জেল হেফাজতে থাকা গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে আবেদন করেছিলেন সিআইডি’র তদন্ত আধিকারিক তীর্থঙ্কর স্যান্যাল। জেলা ও দায়রা বিচারক মধুমতী মিত্র সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। জেল হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর পক্ষের একজন আইনজীবী উপস্থিত থাকার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারক। তপন ঘোষকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে রাখা হয়েছে। সিআইডি’র তদন্তকারী দল শীঘ্রই সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত তপন ঘোষ। জেলা আদালতের নির্দেশে তাঁকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
|