উত্তরসূরিকে কোলে নিয়ে মাঠে দুই মহাতারকা। মেসি আর নেইমার। পাশাপাশি পোজ। ম্যাচে নেমেও দুরন্ত যুগলবন্দি। রিয়াল সোসিওদাদকে ৪-১ উড়িয়ে দেওয়া। নেইমারের স্প্যানিশ লিগের প্রথম গোল। মেসির সপ্তম। কিন্তু ম্যাচ শেষের আগেই কেটে গেল ছন্দ। বার্সা কোচ টাটা মার্টিনোর ৮০ মিনিটে মেসির পরিবর্ত নামানো নিয়ে অশান্তি বার্সার সংসারে।
মাঠ ছাড়ার সময়ই মেসির হাবভাবে অসন্তুষ্টি স্পষ্ট ফুটে উঠছিল। যে ম্যাচে আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে ঘরের টিম জিতছে তাতে হঠাৎ মনঃক্ষুণ্ণ হবে কেন বার্সেলোনার মহাতারকার? জবাবটা পাওয়া গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই। মেসির মাঠ ছাড়ার সময়ই মার্টিনো বহু বার তাঁকে ডাকলেও সাড়া দেননি আর্জেন্তিনার অধিনায়ক। |
এ রকম পরিস্থিতি হতে পারে আন্দাজ করতে পারেননি মার্টিনো। কী করেই বা করবেন! স্প্যানিশ সুপার কাপের পর বার্সার হয়ে এত দিন গোল ছিল না নেইমারের। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে তাঁর গোল দিয়ে মার্টিনোর টিমের দাপট শুরু। তিন মিনিট পরেই মেসির গোল। এই নিয়ে ন্যু কাম্পে টানা ১৩ লিগ ম্যাচে জালে বল জড়ালেন ‘লা পুলগা’। ২৩ মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ান বুস্কেতস। শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যেই ম্যাচ একপেশে করে ফেলেন নেইমাররা। বিরতির পর সোসিওদাদের ডি লা বেলা ব্যবধান কমালেও লাভ হয়নি। ফের পরিবর্ত ফুটবলার বার্ত্রা ম্যাচ সোসিওদাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান বার্সার চতুর্থ গোল করে। জয়ের আবহ হঠাৎ মেসিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে বদলে যাবে কে জানত!
অবশ্য ম্যাচের পর মার্টিনোর সাফাই, “মেসি কখনও মাঠ ছাড়তে চায় না। কিন্তু ওর খেয়াল রাখা আর যাতে চোট না পায় সেটা দেখা আমার কর্তব্য। আমাদের সেরা ফর্মের লিওকে চাই। যখনই ম্যাচে আমাদের সামনে সুযোগ থাকে লিওর খেয়াল রাখার, তখনই আমরা তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করি।” আর মেসি নিজে কী বলছেন? জানার আগ্রহ তুঙ্গে ছিল মাঠ ফেরত সমর্থকদেরও। বান্ধবী আর ছেলেকে নিয়ে এমন দুরন্ত একটা ম্যাচ জয়ের ‘এক গামলা’ আনন্দে মার্টিনোর সঙ্গে ঝামেলাটা এক ফোঁটা ‘চোনা’ হয়ে গেল না তো আর্জেন্তিনার মহাতারকার? উত্তরটা অবশ্য পাওয়া যায়নি। মেসি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি যে।
|