যত দিন যাচ্ছে, তত ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে স্নেহাংশু আচার্য চ্যালেঞ্জার ট্রফি।
কখনও বৃষ্টির দোহাই দিয়ে টুর্নামেন্টের সূচি তৈরি হচ্ছে চার বার। কখনও ভিনরাজ্যের টিমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘না’ শুনতে হচ্ছে, চেয়েচিন্তে জুটছে কপালে দ্বিতীয় সারির টিম। কখনও বা টুর্নামেন্ট শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে নিজেদের টিম নিয়েই চরম বিভ্রান্তিতে পড়ছে সিএবি!
শেষের ঘটনাটা ঘটল বুধবার। শুক্রবার চ্যালেঞ্জারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলা এবং বাংলা ‘এ’। এ দিন ১৫ জনের ‘এ’ টিম ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু সিনিয়র টিমটা কী, বুধবার রাত পর্যন্ত কেউ জানে না। চূড়ান্ত দল (১৫ জন) ক্রিকেটাররা জানেন না। নির্বাচকরা জানেন না। সিএবি কর্তাদের অধিকাংশ জানেন না। টিমের প্র্যাকটিসে সিএবি-র যে কমিটি সদস্যরা যাচ্ছেন, তাঁরাও কেউ জানেন না।
শোনা যাচ্ছে কয়েক দিন আগে যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসে বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র ১৫ জনের দল তৈরি করে যান। যারা চ্যালেঞ্জারে সিনিয়র বাংলার হয়ে খেলবে। অশোক এই মুহূর্তে দিল্লিতে, তাই প্র্যাকটিসের দায়িত্বে লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সুজন মুখোপাধ্যায় মুম্বইয়ে। টিম সংক্রান্ত ব্যাপারে সাংবাদিকদের ফোন ধরছেন না। সিএবি কর্তাদেরও কাউকে কাউকে জানাতে পারছেন না ১৫ জনের টিমটা ঠিক কী। মুম্বইয়ে ফোন করলে কাউকে কাউকে ‘টিম দিয়ে দেব’ শুনতে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, টিমটা সিএবি সচিব জানাবেন কবে? শুক্রবার থেকে তো টুর্নামেন্ট!
ক্রিকেটাররাও বিভ্রান্ত। সিনিয়র বাংলার ২৫ জনের দল ঠিক করা ছিল আগে। সেই মতো প্র্যাকটিস হচ্ছে। কিন্তু কারা চ্যালেঞ্জারে খেলবে, সেটা কেউ বুঝতে পারছেন না। চ্যালেঞ্জারে সিনিয়র টিমের ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও চূড়ান্ত সংশয়। যা খবর, বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিস নেই। সিএবি সচিব কোনও কোনও সদস্যকে জানিয়েছেন, তিনি ওই দিন টিম বলে দেবেন। যা শুনে এক ক্রিকেটার বললেন, “যদি ফোনে সেটা শেষ পর্যন্ত জানতে পারি, তা হলেও বুঝব কপাল ভাল। নইলে শুক্রবার ২৫ জনকেই মাঠে যেতে হবে সাড়ে ন’টায়। গিয়ে জানতে হবে কে ক্যাপ্টেন, কারা খেলছে।”
আরও দুঃখের ব্যাপার, ‘চ্যালেঞ্জারে ঝাড়খণ্ড আসছে’ বলে যে ব্যাপারটা চালানোর চেষ্টা চলছে, সেটা আদতে ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সারির টিম! প্রধান টিম এত দিন ধরে প্র্যাকটিস শেষে ছুটিতে যাচ্ছে। কোনও ভাবেই তারা সিএবি-র আমন্ত্রণে চ্যালেঞ্জারে আসছে না।
|