সাধারণ ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকের চিন্তাভাবনা চুলোয়। উল্টে জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ডেকে নির্বাচন কমিটি গঠন!
চাপে পড়ে স্নেহাংশু আচার্য চ্যালেঞ্জার ট্রফিকে কিছুটা আকর্ষণীয় করে মুখরক্ষার চেষ্টা।
নির্বাচন কমিটি গঠন হলেই বাংলা অধিনায়ক ঘোষণা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র সঙ্গে আগাম কথা বলে রাখার ইঙ্গিত।
এবং বৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জারের কোনও ভাবে কপাল পুড়লে পুজোর পর বাইরে বাংলা। উত্তর বা দক্ষিণ ভারতে। সেখানেই ম্যাচ প্র্যাকটিস, তার পর সোজাসুজি রঞ্জি!
এক দিকে, বোর্ড নির্বাচনকে অজুহাত করে সিএবি-র টালবাহানা নিয়ে আনন্দবাজারে খবরের প্রতিক্রিয়া। অন্য দিকে, উত্তেজিত কয়েক জন সিএবি উচ্চপদস্থ কর্তার তীব্র চাপ। দুইয়ের ফাঁসে বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ মঙ্গলবার নামতে হল সিএবি-কে।
মজার হল, এমন নাটকীয় পটপরিবর্তন কিন্তু ঘটল আসন্ন ২৯ সেপ্টেম্বরের বোর্ড নির্বাচনের আবহেই! যে কারণে নাকি বাংলা ক্রিকেট নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করতে পারছিল না সিএবি।
এ দিন বাংলা ক্রিকেট নিয়ে সিএবি-র গয়ংগচ্ছ মনোভাবের খবর বেরোনোর পরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের কেউ কেউ। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন যুগ্ম-সচিব গৌতম দাশগুপ্ত সন্ধেতেই বলে দিলেন, “দেশের কোন টুর্নামেন্টের সূচি বৃষ্টির কথা ভেবে তৈরি হয়? এরা তো ব্যাপারটাকে লোক হাসানোর পর্যায়ে নিয়ে গেল!” একটু থেমে গৌতমের পরবর্তী সংযোজন, “আমি বলেছিলাম, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে চ্যালঞ্জারটা করতে। বৃষ্টি হলে বন্ধ থাকত। আবার হত। অন্তত কয়েকটা ম্যাচ তো খেলা যেত। কী হচ্ছে? নির্বাচন কমিটিও গঠন করা যায়নি।”
তখনও ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান জানতেন না, সেটা করে ফেলেছে সিএবি। সিনিয়র ক্রিকেটের সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়কে দূরে রেখে। প্রায় ফাঁকা সিএবিতে।
সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া ও বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্র মিত্র এ দিন চলে গেলেন চেন্নাই। সুজন মুম্বইয়ে। টুর্নামেন্ট কমিটির মুখ্য প্রবীর চক্রবর্তী চ্যালেঞ্জার-সঙ্কটের মধ্যেও পুরী! বাধ্য হয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে হয় কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে ও জুনিয়র ক্রিকেটের সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে! দু’জনে ঠিক করেন, জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি ডেকে নির্বাচন কমিটি গঠন হবে ২ অক্টোবর। ছুটির দিনে সিএবি খোলা রেখে! ক্যাপ্টেন কে, ঠিক হবে তার পরপর। চ্যালেঞ্জারের সূচিও আরও একবার পরিবর্তন করা হল। ফাইনাল দু’দিনের নয়, হবে তিন দিনের। ইডেনের ফ্লাডলাইটে। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছিলেন, “কাউকে না কাউকে সিদ্ধান্ত নিতে হত। আমরাই নিলাম!”
সিএবি-র নতুন প্রতিশ্রুতি আর কার্যকারিতায় এ বারও ফারাক থাকে কি না, সেটাই এখন দেখার।
|