এএফসি কাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আনন্দে শহরে পা দিয়েই বোমা ফাটালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মার্কোস ফালোপা। নাম না করে বিঁধলেন তাঁর পূর্বসুরি ট্রেভর জেমস মর্গ্যানকে। বললেন, “অনেক কথা শুনেছি। এ বার সে সব অতীত। ইস্টবেঙ্গলে এখন আমার সময় শুরু!”
কিন্তু ‘অনেক কথা’ বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন, জানতে চাইলে চোখ টিপে রহস্যে ঘেরা হাসি মুখটাই মেলে ধরছেন লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় কোচ। তবে ঠারেঠোরে ইঙ্গিতটা প্রাক্তন কোচের দিকেই। মরসুমের প্রথম দিন থেকেই যাঁর ছায়ার সঙ্গে ক্রমাগত লড়তে হচ্ছে তাঁকে।
এ দিন দমদম বিমানবন্দরে নামার পরই ফালোপাকে ঘিরে ধরে অত্যুৎসাহী সমর্থকের দল। তবে সংখ্যায় কুড়ি-পঁচিশ জনের বেশি ছিলেন না তাঁরা। সমর্থকদের আবেগের বলয় ছেড়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ামাত্র ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, “এ বার শুরু আমার সময়। ইস্টবেঙ্গলকে এএফসি কাপ সেমিফাইনালে তোলার জন্য মঙ্গলবার রাতেই ফিফার ধন্যবাদজ্ঞাপক মেল পেয়েছি। এ বার সামনে কুয়েত। পাদাংয়ের বিরুদ্ধে যে কৌশলে দল খেলেছে, তা ওখানে খাটবে না। নতুন ট্যাকটিক্স বের করতে হবে।” এএফসির ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে বিশ্বের পঁচাত্তরটি দেশে কোচিং করিয়েছেন এই ব্রাজিলীয়। সেই তালিকায় রয়েছে কুয়েতও। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছেন ফালোপা। বলছেন, “মধ্যপ্রাচের ফুটবলটা জানা আছে। তা ছাড়া কুয়েতে বছরদশেক কাটিয়েছি। সেটা কাজে দেবে। প্রতিপক্ষ বেশ গোছানো। ও দেশে খবর নিয়ে জেনেছি, কুয়েত এসসি-র ব্রাজিল এবং তিউনিশিয়ার দুই ফুটবলার বেশ ভাল। তবে আমার দলের অস্ত্র সংহতি। তার জন্যই কাজটা অসম্ভব নয়।” |
ফালোপা যখন এ কথা বলছেন, তখন পাশ দিয়ে একে একে বেরিয়ে আসছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলার এবং কর্তারা। সবার আগে গোলকিপার গুরপ্রীত। মঙ্গলবার বাজে গোল খেয়ে কিছুটা চুপচাপ ছিলেন। তবে অধিনায়ক মেহতাব থেকে বলজিৎ-অ্যালভিটো সকলেরই এক কথা, “রেকর্ড হতে পারে। তবে এত হইচই করারও কিছু নেই। পাঁচ দিন পরেই সেমিফাইনালে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আপাতত তাতেই ফোকাস করছি।”
কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পাওয়ায় সুয়োকা বাইরে আসেন হুইলচেয়ারে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছিল ক্লাবের তরফে। কিন্তু জাপানি ফুটবলারটি এ দিন হাসপাতালে না গিয়ে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সোজা বাড়ির পথ ধরেন। বৃহস্পতিবার এমআরআই হবে তাঁর। দলের সঙ্গে যাওয়া ক্লাবের সহ-সচিব ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত জানান, ডান গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়েছে সুয়োকার। তবে সেটা এলসিএল (ল্যাটারাল কোল্যাটারাল লিগামেন্ট) না এসিএল (অ্যান্টিরিয়র ক্রুশিয়াল লিগামেন্ট)-এর চোট, তা এমএরআই করলে জানা যাবে। প্রথমটায় ছ’সপ্তাহ পরেই মাঠে নামতে পারবেন সুয়োকা। তবে এসিএল চোট হলে মাঠে নামতে আরও ছ’মাস লেগে যাবে।
|
পুরনো খবর: এক চালে বাজিমাত |