|
|
|
|
ত্রিপুরা সরকারি সংগ্রহশালার উদ্বোধনে উপরাষ্ট্রপতি আনসারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে রাজ্যের সরকারি সংগ্রহশালার উদ্বোধন করলেন উপরাষ্ট্রপতি মহম্মদ হামিদ আনসারি। নামকরণ নিয়ে বিতর্কের জেরে, সংগ্রহশালার নতুন নামকরণ হয়েছে ‘ত্রিপুরা স্টেট মিউজিয়াম, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ’।
রাজ্য সংগ্রহশালার উদ্বোধনের পর টাউন হলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপরাষ্ট্রপতি। মানব-ইতিহাসে সংগ্রহশালার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জানতে গেলে সংগ্রহশালার গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজের বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠী, জাতি-উপজাতির নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরা পড়ে পুরাতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমেই।” ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের পুরাতাত্ত্বিক নানা সামগ্রী ওই সংগ্রহশালায় রাখা হয়েছে। আনসারির কথায়, ‘‘উন্নত এই সংগ্রহশালা ভারতের অন প্রদেশের বাসিন্দাদেরও দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জানতে সাহায্য করবে।’’ |
সংগ্রহশালা উদ্বোধনে উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী। |
মহারাজা রাধাকিশোর মানিক্যের নির্মিত রাজবাড়ির একাংশ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সুখময় সেনগুপ্তর আমলে ক্রয় করে রাজ্য সরকার। ১৯৭৪ সাল থেকে কয়েক বছর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদেই বিধানসভার কাজকর্ম চলেছিল।
মানিক সরকার জানান, ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে বিধানসভার নিজস্ব ভবন নির্মিত হওয়ায়, সরকারি সংগ্রহশালাটি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজবাড়ির নাম ‘উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ’ দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুসম্পর্কের ইতিহাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিসর্জন নাটকে রবীন্দ্রনাথ নিজেও অভিনয় করেছিলেন। সেই নাটকের একটি ছবিও সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদকে ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’-এর মর্যাদা দিয়েছে। দেশ বিদেশের পর্যটকরা যাতে ত্রিপুরা রাজ্য সংগ্রহশালায় আসেন, সে জন্য সুন্দরভাবে সেটিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দফতরের সচিব, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ছিলেন ললিতকলা অ্যাকাডেমির প্রধান কে কে চক্রবর্তী।
|
পুরনো খবর: প্রাসাদে সংগ্রহশালা, আপত্তি বিজয় রাঙ্খলের |
|
|
|
|
|