সেই ইন্দোনেশিয়া। সেই ইস্টবেঙ্গল। আসিয়ান কাপ জয়ের দশক-পূর্তির বছরে ফের ইতিহাসের হাতছানি লাল-হলুদে। চিডি-মেহতাবরা কি পারবেন ষষ্ঠী-ভাইচুংদের স্মৃতি ফুটিয়ে তুলতে?
অ্যালভিটো ছাড়া সুভাষ ভৌমিকের ২০০৩-র সেই ঐতিহাসিক দলের আর কোনও ফুটবলার মার্কোস ফালোপার দলে নেই। কিন্তু তাতে কী? সৌমিক-ওপারা-অর্ণব মণ্ডলরা কোনও অংশে কম যান না। গত তিন বছরে এই একই দল আটটা ট্রফি দিয়েছে ক্লাবকে। হয়তো সে জন্যই প্রতিপক্ষ সেমেন পাদাংয়ের সঙ্গে যেখানে ড্র করলেই চলে, সেখানে জয়ের পতাকা উড়িয়েই এএফসি কাপ সেমিফাইনালের টিকিট পকেটে পুরতে চান মেহতাবরা। |
পাদাংয়ে পাতে আলুসেদ্ধ মাখলেন মেহতাব। দর্শক অর্ণব। রবিবার। ছবি: ফেসবুক |
ইস্টবেঙ্গল ও ইতিহাসের মধ্যে আর মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার দূরত্ব! তবে পথে বেশ কিছু কাঁটা আছে। যেমন ইন্দোনেশিয়ার আগাস সেলিম স্টেডিয়ামের মাঠ। যেখানকার অসমান বাউন্স ও দ্রুত গতির পিচ চিন্তায় রেখেছে লাল-হলুদ শিবিরকে। এ ছাড়া পাদাংয়ের ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রাও একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে মঙ্গলবারের ম্যাচে। রবিবার সকালে দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
এএফসি কাপ সেমিফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান কোচ দলে কোনও পরিবর্তন করতে চাইছেন না। এমনকী গোলে অভিজিৎ মণ্ডলের জায়গায় আবার গুরপ্রীত সিংহ-ই খেলবেন। আর আসিয়ানজয়ী দলের একমাত্র সদস্য অ্যালভিটো ডি’কুনহাকে ম্যাচের শুরুতে না খেলালেও, দ্বিতীয়ার্ধে নামাতে পারেন ফালোপা। রবিবার রাতে ডিনারের পরে ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন লাল-হলুদ কোচ। ওপারা-চিডিদের আগের ম্যাচের ভিডিও দেখান তিনি। |