ইতিহাস গড়তে শুক্রবার ইন্দোনেশিয়া উড়ে গেল ফালোপা ব্রিগেড।
এর আগে লাল-হলুদ মশালের এএফসি কাপে সেরা পারফরম্যান্স ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এ বার তা টপকে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। যুবভারতীতে সেমেন পাদাংকে ১-০ হারানোর পর ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাওয়ে ম্যাচ ড্র রাখতে পারলেই শেষ চারে চলে যাবেন চিডি-মেহতাবরা। ঐতিহাসিক ঘটনা হবে কলকাতার ফুটবলে। আর সে জন্যই উত্তেজিত ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান কোচ থেকে ক্লাব সমর্থক। |
এ দিন ক্লোজড ডোর অনুশীলনের পর ফালোপা যেমন বলে দিলেন, “অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি খুব ভাল হয়েছে। কিছু নতুন ট্যাকটিক্স চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভাল ফল নিয়ে ফিরব।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমাদের দলে আক্রমণাত্মক ফুটবলার আছে। চেষ্টা থাকবে একটা গোল করার। ড্র নয়, জিততে চাই।”
হালকা ওয়ার্ম আপ থেকে দুটো দলে ভাগ করে পুরো মাঠে খেলা, সেট পিস অনুশীলন সবই ছিল ফালোপার এ দিনের অনুশীলনের মেন্যুতে। আত্মবিশ্বাসী হলেও পাদাং-এর দল নিয়ে এখন থেকে স্ট্র্যাটেজি যে তৈরি, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। মঙ্গলবার ম্যাচ। সে দিন পাদাং নতুন শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে। কারণ দলে ফিরছেন তাদের আর্জেন্তিনীয় স্ট্রাইকার এস্তেবান। এবং তাঁর সঙ্গে যুবভারতীতে চমকে দেওয়া উইলসন তো থাকছেনই। “আমার বিশেষ প্ল্যান আছে ওদের জন্য। যেমন আশা করছি সেমেনেরও চিন্তা থাকবে আমাদের সুয়োকা-আব্রাঞ্চেসের জন্য,” বলছেন ফালোপা।
প্রথম পর্বে যাঁর গোলে স্বপ্নের সেমিফাইনালে ওঠার প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, দলের সেই জাপানি তারকা সুয়োকা এ দিন কোনও কথাই বলেননি। তবে হাবেভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ইতিহাসের সঙ্গী হওয়ার জন্য তৈরি। যদিও ইন্দোনেশিয়ায় ফিরতি ম্যাচে প্রথম দল নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন ফালোপা। বলতে চাননি সুয়োকাকে প্রথম একাদশে রাখবেন কি না। “সুয়োকা তো আঠারো জনের দলে আছে। প্রথম এগারো ম্যাচের ঠিক আগে বাছব। কারণ আরও দু’দিন অনুশীলন হবে ওখানে। দেখতে হবে ফুটবলারদের অবস্থা তখন কেমন থাকে,” বলছিলেন ফালোপা।
পাদাংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে সুয়োকা-ফালোপা বিরোধ বা সন্ধি নিয়ে নয়, ইন্দোনেশিয়ার গরমকেই বড় ফ্যাক্টর হিসেবে ধরছেন ফুটবলাররা। ভাসুম যেমন বেশ চিন্তিত, “আগেও ইন্দোনেশিয়ায় খেলেছি। মাঠগুলো খুব ভাল হলেও প্রচণ্ড গরম ওখানে।” ভাসুমের সঙ্গে একমত অধিনায়ক মেহতাব, “ইন্দোনেশিয়ার গরমে খেলা খুব কঠিন। দুপুর তিনটেয় ম্যাচ শুনলাম। আরও সমস্যা হবে।”
গরম ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় ঘাসের মাঠে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেটাও সমস্যা মানছেন মেহতাব। বলছিলেন, “আমাদের এখানে অ্যাস্ট্রোটার্ফ থাকায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলাম। ওখানে ঘাস। যার জন্য ইস্টবেঙ্গল মাঠেই অনুশীলন করেছি আমরা।”
বাইরের মাঠে মেহতাবের সঙ্গে কি অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ মিডিও রাখবেন ফালোপা? ক্লাব সূত্রের খবর, অনুশীলনে সৌমিক দে-কে সেই ভূমিকায় রেখেই অনুশীলন করাচ্ছেন ফালোপা। “ওরা কিন্তু সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। আমাদের সেরাটাই দিতে হবে সেমিফাইনাল পৌঁছতে গেলে।’’ টিম মিটিংয়ে এটাই ছিল ফালোপার সতর্কবাণী।
|
লাল-হলুদ ছক
৪-২-৩-১ ছকে প্রথম দল নামাবেন ফালোপা।
পাদাংয়ের আর্জেন্তাইন এস্তেবানকে আটকাতে থাকছে ডাবল ডিফেন্সিভ স্ক্রিন।
আক্রমণে চিডিকে রেখে সুয়োকাকে শ্যাডো স্ট্রাইকার নামাতে পারেন কোচ।
বিদেশে ইস্টবেঙ্গল
(এ বারের এএফসি-তে)
সায়গন ০: ইস্টবেঙ্গল ০
তাম্পাইন্স রোভার্স ২: ইস্টবেঙ্গল ৪
সেলাঙ্গর ২: ইস্টবেঙ্গল ২ |
|