ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ঘরের মাঠে রবিবার মরসুমের প্রথম ডার্বিতে তিনি নেই। আবার প্রবল ভাবে আছেনও। তিনি স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন।
সেই প্রবল উৎকন্ঠা ভরা চুইং-গাম চিবনো মুখটা এত্তেহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানেজারের চেয়ারে থাকবে না। তবে তাঁর ধুরন্ধর ফুটবল মস্তিষ্কের সব চাল শেষ হয়ে গিয়েছে ভাবলে ভুল হবে। ডিরেক্টর হিসেবে প্রথম ডার্বিতেই সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্যর অ্যালেক্স। |
কী ভাবে? বৃহস্পতিবারই হঠাৎ ওয়েন রুনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফার্গুসন। ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতেও তিনি ক্লাবের অস্ত্র মানছেন রুনিকেই। “ওয়েনের পারফরম্যান্স দুরন্ত। দারুণ লাগল ওকে এ ভাবে খেলতে দেখে। নিজের এনার্জি, স্পষ্ট একটা লক্ষ্য, প্লেয়ারদের আক্রমণ করার উদ্দেশ্য, সব মিলিয়ে আমার দুর্দান্ত লেগেছে। ডিরেক্টর হিসেবে আমি খুব খুশি হয়েছি। ওকে আমরা যে ভাবে মনে রেখেছি, ঠিক সে ভাবেই ওয়েন ফিরে এসেছে,” বলে দেন ফার্গুসন।
আপাত নিরীহ মন্তব্যটা চমকে দেওয়ার মতোই। অন্তত পাঁচ মাস আগের পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখলে। ম্যান ইউ ম্যানেজার হিসেবে স্যর অ্যালেক্সের শেষ ম্যাচে রুনি ছিলেন না। তার আগে রুনির ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়ার ইচ্ছার কথা ফার্গুসন ফাঁস করে দেওয়ায় সম্পর্কটা প্রায় তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। পাঁচ মাস পর রুনি সম্পর্কে প্রথম খোলাখুলি স্যর অ্যালেক্সের মন্তব্যে অনেকেই তাই বেশ অবাক হয়েছেন।
অনেকে আবার হননি। তাঁরা ফার্গুসনের এই রুনি-বন্দনাকে ডার্বির আগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবেই দেখছেন। যা ফার্গির সবচেয়ে প্রিয় অস্ত্র। নতুন বস ডেভিড মোয়েস যখন রুনি, ফান পার্সিদের নিয়ে এত্তেহাদ-জয়ের যুদ্ধে ব্যস্ত, তখন মাঠের বাইরের লড়াইটা সামলাচ্ছেন ফার্গুসন। শুধু তাই নয়, রুনির সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর প্রচেষ্টাও তো স্পষ্ট। “আমাদের এ বার সফল হওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে। ফান পার্সি আর রুনির মতো ফরোয়ার্ড ম্যাচ জেতাতে পারে,” বলেন ফার্গুসন। |
এখন অ্যালবামে। রুনি-ফার্গি উত্তপ্ত দিনে। |
ম্যান ইউয়ের পক্ষে আরও একটা ভাল খবর, নতুন কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির দলের ইপিএলে ডেভিড মোয়েসের বিরুদ্ধে রেকর্ড মোটেই সুবিধের নয়। গত চার মরসুমে মোয়েসের পুরনো টিম এভার্টনের বিরুদ্ধে আট বার সাক্ষাতে মাত্র এক বার জয় পেয়েছে ম্যান সিটি। ব্রিটিশ মিডিয়ায় সিটির ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতা তো বলেই দিয়েছেন, “মোয়েসের এভার্টনকে হারানো খুব কঠিন ছিল। আর ফার্গি নেই তো কী, দলটার নাম তো ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডই!”
|