চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযানে শুরুতেই জোড়া গোল করেও আয়েসি ঢেঁকুর তুলতে পারলেন না ওয়েন রুনি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মঙ্গলবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের লিভারকুসেন বধ নাটকে মুখ্য চরিত্র কবুল করতেই পারলেন না “ক্লাবে সুখেই আছেন”।
ঘটনাচক্রে রেড ডেভিলস স্ট্রাইকার এ দিনই ন’বছরের কেরিয়ারে চতুর্থ প্লেয়ার হিসেবে ক্লাবের হয়ে গোলের ডাবল সেঞ্চুরির নজির গড়লেন। ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে গোল দিয়ে মরসুম শুরু। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় ম্যাচেই নজির। ফান পার্সিকে টপকে তাই টিমের এক নম্বর স্ট্রাইকারের জায়গাটা পুনর্দখল করতেই পারেন। এখন ক্লাবে সুখী তো? প্রশ্ন শুনে তবু যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন ম্যান ইউ তারকা। বলে দিচ্ছেন, “দেখুন, নিজের খেলাটার উপরেই মন দিচ্ছি। যেটা গোটা গ্রীষ্ম জুড়েই করে এসেছি। প্রচুর পরিশ্রম করেছি নতুন মরসুমে নিজেকে তৈরি রাখতে। ফিট রাখতে। যে ভাবে ফিরে আসতে পেরেছি, গোল করছি তাতে দারুণ আনন্দ হচ্ছে। কত দ্রুত এই ক’বছর কেটে গেল ক্লাবে। ম্যাঞ্চেস্টারের মতো ক্লাবে দু’শো গোল করার আনন্দই আলাদা। এটা দারুণ একটা সম্মানের ব্যাপার।” |
ম্যানেজার ডেভিড মোয়েস যদিও জাহির করতে শুরু করে দিয়েছেন, রুনিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ম্যান ইউতে ধরে রাখার কৃতিত্বের কথা। “রুনিকে আমরা মনে করিয়ে দিয়েছিলাম ওর সামনে সুযোগ রয়েছে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার। মাঠে ওর মুভমেন্ট চমৎকার। তা ছাড়া দলের সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড গোলের মধ্যে থাকলে ভাল তো লাগবেই।” স্বয়ং ম্যানেজারই যখন এ ভাবে প্রশংসা করছেন তার পরও কেন রুনিকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট লাগছে না সেটা রহস্যই। |
তবে ম্যানেজার সমর্থকদের মন জেতার যতই চেষ্টা করুন না কেন ম্যান ইউয়ের বেশ কিছু সমর্থক কিন্তু মোয়েস জমানায় প্রচণ্ড অসন্তুষ্ট। যার প্রধান কারণ ট্রান্সফার উইন্ডোতে এ বার ভাল মানের প্লেয়ার আনতে না পারার ব্যর্থতা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে তো দূর, সেস ফাব্রেগাস, থিয়াগো আলকান্ত্রা, এমনকি আটলেটিক বিলবাওয়ের প্লে মেকার আন্দ্রে হিরেরাকেও দলে নিতে পারেননি মোয়েস। আশঙ্কার কথা জানিয়ে অসন্তুষ্ট সমর্থকরা চিঠিও দেন ক্লাবকে। এই অশান্তির মধ্যে আবার রুনির অসন্তোষ। চিন্তিত সমর্থকদের অবশ্য ক্লাবের তরফে তাঁদের চিঠির উত্তর পাঠিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। জবাবে বলা হয়েছে, ক্লাবের প্রথম লক্ষ্য ছিল রুনিকে ক্লাব ছাড়তে না দেওয়া। আর দ্বিতীয় টার্গেট ছিল এক জন ভাল মানের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আনা। ফেলাইনিকে সই করিয়ে সেই লক্ষ্যে ম্যান ইউ সফল। ডেভিড মোয়েসের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা রয়েছে। ক্লাব যা পুরোপুরি সমর্থন করছে। ক্লাবের বক্তব্য তো নয় পরিষ্কার হল। এখন দেখার রুনিকে কী ভাবে বশে রাখতে পারেন ম্যান ইউ ম্যানেজার। |