বেঙ্গালুরু এফসি-১
মোহনবাগান-১
(রুনি) (সাবিথ) |
ওডাফা ফিট থাকলে তিনি হয়তো প্রথম একাদশে সুযোগই পেতেন না। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে করিম বেঞ্চারিফার মান বাঁচালেন সেই সাবিথই। ইনজুরি টাইমের গোলে হারা ম্যাচ ড্র করে।
রবিবার বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল নাটক। দু’টি দলই পেনাল্টি মিস করে। ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যে মোহনবাগান প্রথম পেনাল্টি পায়। গোল করতে ব্যর্থ হন কাতসুমি। দ্বিতীয়ার্ধে শন রুনির গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু জোড়া গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রুনি। এ দিন চাপের মুখে সন্দীপ নন্দী যদি পেনাল্টি থেকে রুনির শট না বাঁচাতেন, তা হলে হয়তো বেঙ্গালুরু থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরা হত না মোহনবাগানের। ম্যাচের পর করিম বলেন, “শুরুতেই কাতসুমি পেনাল্টি মিস না করলে আমরা জিততেও পারতাম।”
|
সাবিথ। গোল করে লজ্জা
ঢাকলেন বাগানের। |
শুধু পেনাল্টি মিস নয়, এ দিন কাতসুমি দু’টি নিশ্চিত গোলের সুযোগও নষ্ট করেন।জাপানি মিডিও-র দু’টি শটই ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। ওডাফার অভাব এ দিন প্রতিটা মুহূর্তে টের পেয়েছে মোহনবাগান। মরক্কান কোচ বলেও দিলেন, “ওডাফার মতো স্ট্রাইকার দলে থাকা মানে বিপক্ষও চাপে পড়ে যায়। ওকে খুব মিস করছি।” গোল করার পর সাবিথের মুখেও এক কথা, “ওডাফা পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। চোট সারিয়ে ও ফিরলে আমাদের টিমের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ বদলে যাবে।”
নতুন দল হলেও মোহনবাগানকে এ দিন বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল অ্যাশলে ওয়েস্টউডের বেঙ্গালুরু। বাগান শিবিরের যদিও দাবি, প্রথমার্ধে করিম-ব্রিগেডই চাপে রেখেছিল বিপক্ষকে। তবে একই সঙ্গে তারা এটাও মেনে নিচ্ছে, দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরু যে ভাবে উইং থেকে আক্রমণ করেছে বা রুনি, রিনো অ্যান্টোরা যে গতিতে খেলেছেন, তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি ডেনসন-আদিলরা। বাগানের দুই সাইডব্যাক রবিন্দর এবং ওয়াহিদ সালি-কে নিয়ে সন্তুষ্ট নন করিম। দ্বিতীয়ার্ধে সুনীল ছেত্রী নামার পর যেন আরও নড়বড়ে লাগে মোহনবাগানের রক্ষণকে। মরক্কান কোচ অবশ্য এ দিনও যুক্তি দিলেন, “আমার ছেলেদের আরও সময় দিতে হবে। দলে বেশির ভাগ ফুটবলার নতুন। ওদের বোঝাপড়া তৈরির জন্য আরও ম্যাচ খেলতে হবে। তবে হ্যাঁ, বেঙ্গালুরু যে ভাবে খেলছে তাতে এ বার আই লিগের সব দলকেই কিন্তু ওরা বিপাকে ফেলবে।”
টিমের পারফরম্যান্সে খুশি বেঙ্গালুরু কোচ ম্যাচের পর বলেন, “মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আজ আমরা জিততেও পারতাম।”
আজ, সোমবার সকালে গোয়া যাচ্ছে মোহনবাগান। চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে নামার আগে ছ’দিন সময় পাচ্ছেন ইচে-কাতসুমিরা। ভুলগুলো এই সময়ে শুধরে নিতে চান করিম। এ দিন তিনি বললেন, “আমাদের অনেক জায়গাই মেরামত করতে হবে। চার্চিল ম্যাচের আগে ভুল শুধরে নেওয়ার সময় পাচ্ছি। সেটা কাজে লাগাতে হবে।’’ |
জঘন্য হার ডেম্পোর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোয়াতে অঘটন ঘটাল শিলং লাজং। ৩-০-এ হারাল পাঁচবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল ডেম্পোকে। এ দিন থাংবোই সিংতোর ছেলেরা দুলের স্টেডিয়ামে পুরো ৯০ মিনিট ধরে ‘দাদাগিরি’ করে গেলেন। পাহাড়ের দলটির গতির কাছে মূলত অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন জুয়েল, ক্লিফোর্ডরা। গ্লেন আর বৈথাংয়ের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় লাজং। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান গ্লেন। এ দিন ডেম্পোকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগই দেয়নি লাজং। এ বছরই আর্মান্দো কোলাসোকে সরিয়ে আর্থারকে কোচ করেছে ডেম্পো। আর আই লিগের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেলেন ডেম্পোর নতুন কোচ। |