বাংলার ক্রিকেটের দিন বদলের দিনে যোগ্য ট্রেনারের জন্য হঠাৎ হাহাকার সিএবি-তে। অথচ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ‘লেভেল ওয়ান’ ট্রেনাররা ব্রাত্য!
বুধবার যে বৈঠকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা ক্রিকেটের রোগ সারানোর জন্য ১২ দফা দাওয়াই দিয়েছেন, সেই বৈঠকে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ, বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার গৌতম সোম (জুনিয়র) বলেন, “আমার দলের জন্য একজন ভাল ট্রেনার দরকার। না হলে দলের ছেলেদের ফিটনেস সমস্যা দিন দিন বাড়বে।” এই ব্যাপারে কর্তারা আশ্বাস দিলেও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। পারবেনই বা কী করে? এই মুহূর্তে রাজ্যে যোগ্য ট্রেনারের অভাব। অভিজ্ঞ ট্রেনাররা যে সিএবি কর্তাদের অবহেলায় বাংলার ক্রিকেট থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। আবার ভিন রাজ্যের যোগ্যরা সবাই কোনও না কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলার যে দু’জন এনসিএ-র ‘লেভেল ওয়ান’ ট্রেনার রয়েছেন, তাঁদের একজন সঞ্জীব দাস রাজস্থানের রঞ্জি দলের দায়িত্বে। অন্য জন, চিন্ময় রায় আবার অন্যতম যুগ্মসচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে কোনও দলেরই দায়িত্বে নেই। এঁরা দু’জনই গত বছর বাংলার দু’টি দলে দায়িত্বে ছিলেন। চিন্ময় ছিলেন সিনিয়র দলে, সঞ্জীব অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। সিএবি-র এক শীর্ষ কর্তা স্বীকার করে নিলেন, “এখানে যোগ্য ট্রেনার পাওয়া যাচ্ছে না। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অথচ সৌরভ বাংলার ক্রিকেটের হাল ফেরানোর জন্য যে ‘প্রেসক্রিপশন’ দিয়েছেন, তাতে ট্রেনারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের এই দাওয়াইয়ের পর সিএবি কর্তাদের টনক নড়েছে। তাঁরা এ বার হন্যে হয়ে ট্রেনার খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন। অন্যতম যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় এই নিয়ে বললেন, “গৌতম (সোম) একজন ভাল ট্রেনার চেয়েছে ঠিকই। আমরা চেষ্টা করছি কাউকে আনার দেখা যাক কী হয়।” পৈলান অ্যারোজের ট্রেনার সমীরণ নাগকে অনূর্ধ্ব ১৯-এর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। সুজনের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে চিন্ময়কে ফেরানোর রাস্তাও অবশ্য রয়েছে। কোন রাস্তায় হাঁটে সিএবি, সেটাই এখন দেখার।
|