এরিয়ান ৩ (স্ট্যানলি-২, কার্তিক)
ইউনাইটেড স্পোর্টস ২ (বিশ্বজিৎ, এরিক) |
আই লিগ খেলতে নামার বাহাত্তর ঘণ্টা আগে ফের ধাক্কা খেল র্যান্টি মার্টিন্সের দল। কলকাতা লিগের আগের ম্যাচ ড্র করার পর, বৃহস্পতিবার হেরে গেল ইউনাইটেড। ময়দানে জায়ান্ট কিলার কোচ হিসাবে পরিচিত রঘু নন্দীর এরিয়ান তাদের হারিয়ে দিল ৩-২ গোলে।
মরসুমের শুরুতেই তাঁর কাছে কলকাতা লিগের কোনও গুরুত্ব নেই বলেছিলেন ইউনাইটেড কোচ এলকো সাতোরি। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সেই পথেই হাঁটছেন তিনি। রবিবার প্রথম আই লিগ ম্যাচ র্যান্টি-বেলোদের। প্রতিপক্ষ মিজোরামের দল রাঙ্গদাজিদ ইউনাইটেড এউ সি-র সঙ্গে। সে জন্য দলের গোল মেশিন র্যান্টিকে নামাননি তিনি। লালকমল ভৌমিককে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখলেও দীপক মণ্ডলকে তা-ও রাখেননি। নামিয়ে দিয়েছিলেন কার্যত তরুণ ব্রিগেডকে।
পোড়খাওয়া কোচ রঘু সেই সুযোগটাই নিয়ে নেন প্রথম মিনিট থেকেই। ‘হাইপ্রেসিং গেম’ খেলতে থাকে এরিয়ান। বিরতির আগে চমকে দিয়ে ২-০ এগিয়েও যায় তাঁরা। দু’টি গোলই মোহনবাগানের গতবারের বাতিল স্ট্যানলির। খেলার শেষে রঘু বলেও দিলেন, “র্যান্টি না থাকায় ওদের দল এমনিই দুর্বল ছিল। সেই সুয়োগটা কাজে লাগিয়ে তিন পয়েন্ট পেয়েছি আমরা।” আর গতবারের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা র্যান্টির মন্তব্য, “টিম ভালই খেলেছে। তবে আমরা দেরিতে নেমেছি। ম্যাচ ফিট হতে সময় লাগবে। তবে এই ম্যাচের প্রভাব আই লিগে পড়বে না। আমরা ভাল খেলব।” |
জোড়া গোলের নায়ক স্ট্যানলি। বৃহস্পতিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
স্পনসরহীন ইউনাইটেড ফুটবলাররা কোনও রকম অগ্রিম ছাড়াই মাঠে নেমেছেন অন্য দলের তুলনায় বেশ কিছুটা পরে। তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠেছে, তিন সপ্তাহ প্রি সিজন অনুশীলন করার পরও কেন এত মিস পাস? এত অগোছালো খেলা? বেলো ও গৌর নস্করদের নিয়ে তৈরি রক্ষণ কেন এত দুর্বল? আক্রমণে এরিক-বিশ্বজিৎরা কেন বিপক্ষের উপর সে ভাবে ঝাঁপাতে পারছেন না?
রক্ষণে অভিজ্ঞ দীপক মণ্ডল না থাকার সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত ইউনাইটেডের পেনাল্টি বক্সে হানা দিচ্ছিল এরিয়ান। এরিয়ান কিপারের গোলকিক এসে পড়ে স্ট্যানলির সামনে। ‘ক্লিনিক্যাল স্ট্রাইকার্স ফিনিশ’ করে দলকে এগিয়ে দেন স্ট্যানলি। এর পর রঘুর দল ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড কিপারের দোষে। ম্যাচের শেষ দিকে ইউনাইটেডের বিশ্বজিৎ গোল করে ব্যবধান ২-১ কমালেও , সামান্য পরেই কার্তিক কিস্কুর গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে রঘু নন্দীর দল। ইউনাইটেডের এরিক পেনাল্টি থেকে গোল করলেও হার শেষ পর্যন্ত বাঁচেনি র্যান্টিদের।
|