নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
সবুজকান্তি মাজি খুনের ৩৬ ঘণ্টা পরেও কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। খুনের উদ্দেশ্যে এবং কারণ নিয়েও সন্দিহান জেলা পুলিশ। এ দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত যুবকের স্মৃতিতে শহরের ট্যুরিস্ট লজ মোড়ে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ওই এলাকা থেকে নিহতের বন্ধু, বান্ধবী, ছাত্রছাত্রী এবং পড়শিরা মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মৌনী মিছিল করেন। শান্তিনিকেতনের ডাকঘর মোড় পর্যন্ত ওই মিছিল যায়। |
নিহত সবুজকান্তির স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে সন্ধ্যায়
মৌনী মিছিল করেন বন্ধু, পড়শিরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী |
তদন্তে বিশেষ অগ্রগতির কথা না জানালেও, নিহত যুবকের ঘনিষ্ঠ এবং সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবীদের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখছে পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “সবুজকান্তি কার কার সঙ্গে মেলামেশা করতেন এবং কোথায় কোথায় যেতেন তার খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন এলাকার একটি ফ্ল্যাট, শ্যামবাটি এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি এবং গোয়ালপাড়া সেতু কাছাকাছি এলাকায় নিহত এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় যাওয়া একটি বাড়িতে কাদের আসা-যাওয়া ছিল, সে তথ্য ইতি মধ্যে স্থানীয়দের কাছে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। পথ চলতি মানুষদেরও জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে।” তবে ঘটনাস্থলে ধস্তাধস্তির সুনির্দিষ্ট কোন চিহ্ন পাওয়া যাইনি বলে পুলিশের একাংশের দাবি। হদিশ মেলেনি ক্যামেরারও।
তবে এ দিন, নিহতের বাবা অশোক মাজি বলেন, “পুলিশের উপর আস্থা আছে। কিন্তু ছিনতাইকারীদের হাতে ছেলে খুন হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, তা সন্দেহজনক।” তবে বিশেষ কিছু ভেঙে বলেননি অশোকবাবু। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এ দিন নিহতের বাড়ি থেকে একটি পেনড্রাইভ নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর জিনিসপত্রও নাড়াচাড়া করে দেখা হয়েছে।
|