নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিল বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা। এই জেলার মহম্মদবাজার ব্লকে কয়লা ও পাথর উত্তোলনের সর্ববৃহৎ প্রকল্পে নামতে চলেছে রাজ্য। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের তালবাঁধে গাঁওতার সম্পাদক রবিন সোরেনের নেতৃত্বে বৈঠক করেন স্থানীয় আদিবাসীদের একাংশ। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নতুন করে আর কোনও খনি করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অনশনে বসার সিদ্ধান্তও নিয়েছে গাঁওতা।
রবীন সোরেন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া আদিবাসীদের জমি নেওয়া যায় না। একই কারণে, ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত নিয়মগিরি এলাকায় কয়লা খনির কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় একটি বহুজাতিক সংস্থা। ওখানকার লোকেদেরও দাবি ছিল, কোনও অবস্থাতেই জল, জমি, জঙ্গল ও পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।” গাঁওতা বিরোধিতা করলেও জেলার মানুষের বড় অংশ এবং জেলার ব্যবসায়ী মহল মনেপ্রাণে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাইছেন। কারণ, তাঁরা বুঝেছেন, ৫০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প মুষ্টিমেয় কিছু লোকের আন্দোলনের চাপে হাতছাড়া হলে আখেরে তা গোটা জেলারই ক্ষতি। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে যে জেলার অর্থনৈতিক চেহারাটাই বদলে যাবে, তা-ও বলছেন তাঁরা।
এ দিনই বর্ধমানের পানাগড়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বর্ধমান ও বীরভূমের লাগোয়া পাঁচামিতে ৬টি কোল ব্লক পেয়েছে রাজ্য সরকার। আধুনিক পদ্ধতিতে সেখান থেকে কয়লা তোলা হবে। সমগ্র প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বীরভূমের পাশাপাশি বর্ধমানের মানুষও উপকৃত হবেন।”
|