ছক বদলের ভোট দেখবে দুবরাজপুর

প্রতীকী।—নিজস্ব চিত্র।
জোট হীন ভোট
ওয়ার্ড ১৬
প্রার্থী ৫৯
তৃণমূল ১৬
কংগ্রেস ১৬
বামফ্রন্ট ১৬
বিজেপি ১১
তৃণমূল, কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও বিজেপি নিজেদের মতো করে যতই দাবি করুক, তাঁরা অনেকগুলি করে আসন পাবে রাজনীতির কারবারিরা বলছেন এ বার পুরভোটটা অন্য রকম হতে যাচ্ছে। তাই এ নিয়ে আগাম ভবিষ্যত বাণী করতে যাওয়াটা তাঁরা মূর্খামি হবে বলে মনে করছেন। তার কারণ, অনেকটা এখানকার পুরভোটের ইতিহাস। বহু বছর ধরে দুবরাজপুর পুরনির্বাচনে লড়াইয়ের সমীকরণটা ছিল একের বিরুদ্ধে এক ফমূর্লার লড়াই। এক দিকে থাকতেন বাম প্রার্থী, অন্য দিকে থাকতেন কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপি-র অলিখিত মহাজোটের প্রার্থী। কিন্তু এ বার সেই ছক বদলে গিয়েছে। এ বারই প্রথম সব রাজনৈতিক দল আলাদা আলাদা লড়াইয়ে নেমেছে। বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই চার জন করে বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন। কিছু ওয়ার্ডে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তাই কোন ওয়ার্ডে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী জয়ী হবেন, তা আগাম বলতে নারাজ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরাও। সে কারণেই এ বার দুবরাজপুরের লড়াই নিয়ে কৌতূহলও বেড়ে গিয়েছে।
তবে শাসক দল তৃণমূলের বিপরীতে থাকা সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কা করছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি এবং বিজেপি-র জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলেরা গলা মিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা, বিরোধীদের শক্তি প্রদর্শনের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, “সারা রাজ্যেই তৃণমূল অশান্তি পাকাচ্ছে। এখানেও ভোটে ওঁরা গোলমাল করতে পারে। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে।” যদিও বিরোধীদের আশঙ্কা উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, “উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ আমাদের ভোট দেবেন। তাই বিরোধীরা কোমর বেঁধে অপপ্রচার করছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.