বাজির শব্দসীমা বাড়ানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ আগেই রুখে দাঁড়িয়েছে। প্রায় এক মাসের টালবাহানার পরে শেষ পর্যন্ত ওই পথে যাচ্ছে রাজ্য সরকারও। শব্দবাজি নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তারা এবং এটা করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার মঙ্গলবার মহাকরণে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও বাজির শব্দসীমা অন্যান্য রাজ্যের মতো ১২৫ ডেসিবেল করতে হবে বলে জাতীয় পরিবেশ আদালত যে-রায় দিয়েছে, আমরা তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।” আজ, বুধবার বৈঠকে বসবে পরিবেশ দফতর। সেখানেই শীর্ষ আদালতে আবেদনের দিনক্ষণ স্থির হবে। মহাকরণ সূত্রের খবর, বিষয়টি নজরে আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন পরিবেশমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে এই নিয়ে অবিলম্বে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করার নির্দেশ দেন।
জাতীয় পরিবেশ আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে ২২ অগস্ট। তার বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের পরিবেশ দফতর বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ উদ্যোগী হচ্ছে না দেখে নাগরিক সমাজ পথে নামে। পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠন সবুজ মঞ্চের উদ্যোগে এ মাসের শেষে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করার তোড়জোড় চলছিল। সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে নাগরিক সমাজ কী করবে?
সবুজ মঞ্চের পক্ষে নব দত্ত এ দিন বলেন, “দেরিতে হলেও নাগরিক সমাজের চাপে রাজ্য সরকার ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বার আমরা সরকারকে সাহায্য করতেই সুপ্রিম কোর্টে যাব।” পর্ষদের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার যাতে সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেই জন্য আমরা তাদের কাছে আবেদন করেছিলাম। এ বার রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাদের সহায়তা দিতে অতিরিক্ত আবেদনকারী হিসেবে আমরা ওই মামলায় যুক্ত হব।”
|