নির্মিয়মাণ আইকিউ সিটিতে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ ঘিরে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ফের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল দুর্গাপুরের শোভাপুর ও বিজড়া এলাকায়। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় ১০-১২টি বাড়ি। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাতেই মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে দেন।
ঠিকা শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুক্রবারও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে আইএনটিটিইউসি নেতা নিখিল নায়েকের নেতৃত্বে মিছিল বেরিয়েছিল। মিছিলটি আইকিউসিটির গেটের কাছে যেতেই অন্য পক্ষ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেই মিছিলে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নিখিলবাবুর ঘনিষ্ঠ দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁকে গাড়ি থেকে নামতেই দেওয়া হয়নি। তিনি নামতে চাইলে জোর করে ঠেলে তাঁকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। |
এলাকায় একটি বোমাও ফাটে। এই ঘটনায় ঘটনায় জখম হন দু’জন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইএনটিটিইউসি নেতা নিখিলবাবুর অভিযোগ, তাঁদের মিছিলে যারা হামলা চালিয়েছে তারা স্থানীয়দের নিয়োগের নামে টাকা কামাচ্ছে। তাঁরা এই সব বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়াতেই তাঁদের মিছিলে হামলা চালানো হয়। নিখিলবাবু আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত। ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রভাতবাবু।
রবিবার রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা আরম্ভ হয়। সেই থেকে হাতাহাতি ও বাড়ি ভাঙচুর। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় টালির চাল, ঘরের মধ্যে থাকা আসবাবপত্রও। সোমবার প্রভাতবাবুর পক্ষের স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা হরিহর মণ্ডল বলেন, “আইকিউ সিটিতে সিন্ডিকেট গড়েছেন নিখিল নায়েক ও তার অনুগামীরা। আমরা তার বিরোধিতা করায় আমাদের পক্ষের লোকজনদের উপরে চড়াও হচ্ছে তারা।” অভিযোগ অস্বীকার করে নিখিলবাবু বলেন, “দলের বিধায়ককে হেনস্থা করে মুখ লুকোতে এমন মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে ওদের।”
|