রানিগঞ্জে এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা বাড়ানোর দাবি তুললেন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী।
সোমবার রানিগঞ্জের কয়লা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ অভিযোগ করেন, আসানসোল থেকে বর্ধমানগামী সব ক’টি লোকাল ট্রেনই অনিয়মিত। জনশতাব্দী এক্সপ্রেস রানিগঞ্জ স্টেশনে দাঁড়ায় না। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনও এক্সপ্রেস ট্রেনেই চাপা যায় না, কারণ এই স্টেশনে দাঁড়ায় না ওই ট্রেনগুলি।
এই সমস্যার সঙ্গে জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত সমস্যার জন্যও তিনি দিল্লিতে দরবার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বংশগোপাল। তাঁর বক্তব্য, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক রানিগঞ্জ শহরের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিধিগত ভাবে তা করা যায় না। পাঁচ বছর আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, শহরের চার কিলোমিটার রাস্তা বক্তারনগর দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাতে কোনও কাজ না হলে তাঁরা এডিডিএ-র উদ্যোগে ২ নম্বর জাতীয় মোড় থেকে বার্নস মোড় পর্যন্ত বাইপাস নির্মাণ করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। তবে সেই বাইপাস সংস্কারের অভাবে এখন বেহাল। বাড়ছে যানজট। ঘটছে দুর্ঘটনাও। সাংসদের দাবি, এক বছর আগে রেল এবং সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর ফের তিরেল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা লিখিত আবেদন জানাবেন। গত ১৬ নভেম্বর রানিগঞ্জ সিটিজেন্স কাউন্সিল সদস্যদের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। দাবি না মিটলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন বংশগোপালবাবু।
উখড়ার বাসিন্দা তথা কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ রায়ের নেতৃত্বে অন্ডালের উখড়া স্টেশনে বনাঞ্চল, চেন্নাই-গুয়াহাটি-সহ পাঁচটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ৩১ অগস্ট রেল প্রতিমন্ত্রীর সচিবের সঙ্গে দেখা করে একটি দাবিপত্র তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও দাবি, উখড়া স্টেশনে পৃথক সংরক্ষণ টিকিট কাউন্টার চালু করতে হবে। কারণ এক সঙ্গে সাধারণ ও সংরক্ষণ টিকিট দেওয়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ভিড়ের জন্য অনেক সময় তাঁরা টিকিট কেটে ট্রেন ধরতে পারছেন না। |