এক পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার হল সোমবার সকালে। আসানসোল জিআরপির ওই পুলিশ কর্মীর দেহ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। মৃতের নাম ভীম ধীবর (৪১)। মৃতের পকেট থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। ওই সুইসাইড নোটে তাঁর মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনকে দায়ী করেছেন ভীমবাবু। এর প্রেক্ষিতে ভীমবাবুর দাদা মধুসূদন ধীবর আসানসোল দক্ষিণ থানায় ভাইকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মৃতের দাদার কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, ২০০৯ সালে পুরুলিয়ার জেলেপাড়ার বাসিন্দা গোপা ধীবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ভীমবাবুর। আসানসোলের সানভিউ পার্ক এলাকায় বছর খানেক আগে নিজের বাড়ি তৈরি করেন ভীমবাবু। সেখানেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। দিন দশেক আগে তাঁর স্ত্রী ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই পুলিশ কর্মী শ্বশুরবাড়ির কাছে সাহায্য চেয়েছিল। অভিযোগ, সাহায্য করার বদলে তাঁকে গঞ্জনা শোনানো হয়। রবিবার কলকাতায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময়েও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনি আসানসোলে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন। সোমবার সকালে বাড়ির বারান্দায় লোহার গ্রিলের সঙ্গে দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। |