আবার ধাক্কা পাকিস্তান ক্রিকেটে। এ বার সেই ধাক্কাটা এল নতুন করে সদ্য টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পাওয়া জিম্বাবোয়ের কাছ থেকে।
দীর্ঘ এক যুগের অপেক্ষার পরে বড় কোনও দেশের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল জিম্বাবোয়ে। পাকিস্তানকে ২৪ রানে হারিয়ে দু’টেস্টের সিরিজ ১-১ করল তারা। বাংলাদেশকে বাদ দিলে অন্য দেশের বিরুদ্ধে তাদের শেষ টেস্ট জয় ২০০১-এ, ভারতকে হারিয়ে।
পাকিস্তানের এই লজ্জার হারের পর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা অধিনায়ক মিসবা উল এবং কোচ ডাভ হোয়াটমোরের অপসারণ দাবি করে সরব হয়েছেন। রামিজ রাজার বক্তব্য, “মিসবা-র যা দেওয়ার ছিল পাক ক্রিকেটকে, সেটা দিয়েছে। আমাদের এখন নতুন অধিনায়ক, নতুন প্লেয়ার খোঁজা দরকার। পাকিস্তান যা খেলছে, তার চেয়ে আর খারাপ খেলা সম্ভব নয়।” আর এক প্রাক্তন শোয়েব আখতার বলেছেন, “পাকিস্তান ক্রিকেট একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আমাদের সব কিছু নতুন করে ভাবতে হবে।”
এ দিন লাঞ্চের পর যখন খেলা শুরু হয়, তখন জেতার জন্য মাত্র দুটো উইকেট দরকার ছিল জিম্বাবোয়ের। পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪৭ রান। মিসবা-উল-হক ক্রিজে ছিলেন। সেই অবস্থা থেকে টেন্ডাই চাতারা (৫-৬১) আটকে দেন পাকিস্তানকে। মিসবা-র অপরাজিত ৭৯ কাজে আসেনি।
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের বাইরে থেকে সিরিজে নামা জিম্বাবোয়ের কাছে এই জয় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন তারা বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে ন’নম্বরে উঠে এল। ম্যাচের শেষে মিসবা-ও বলেন, “জিম্বাবোয়ের এই জয়টা প্রাপ্য। প্রথম টেস্টেও ওরা দারুণ খেলেছিল। শুরু থেকেই ওরা ইতিবাচক ভাবে খেলেছে। আমাদের চাপে রেখেছে।” তাঁর নিজের টিম এই টেস্ট হেরে র্যাঙ্কিংয়ে ছ’য়ে নেমে গেল। পাক বিপর্যয়ের মূল কারণ হিসেবে ব্যাটিংকেই দেখছেন মিসবা। “প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকেই তাদের ভুল থেকে শিখতে হবে। কুড়ি বা তিরিশ রান করে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না,” বলছেন মিসবা। আর তাঁর বিপক্ষ অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর নিজের টিম নিয়ে বলে গেলেন, “একটা বড় হার থেকে আবার লড়াইয়ে ফিরে আসতে গেলে প্রচণ্ড মানসিক শক্তি লাগে। বিশ্বমানের একটা টিমকে হারানোর অভিজ্ঞতাটা সত্যিই অসাধারণ।”
|