ব্ল্যাক ফ্রাইডে, বোর্ডের শাস্তি, আজীবন নির্বাসন, ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি। শান্তাকুমারন শ্রীসন্ত তবু শান্ত। শুক্রবার ভারতীয় বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শাস্তি ঘোষণায় চমকে যাননি। বরং বেশ আশ্চর্যই হয়েছেন কেরল এক্সপ্রেস। শ্রীসন্তের ধারণা ছিল দিল্লি কোর্টের রায় ঘোষণার আগে বোর্ড এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। শ্রীসন্তের ভাই দীপুসন্ত একটি ওয়েবসাইটকে বলেছেন, “এত তাড়াতাড়ি বোর্ড রায় ঘোষণা করে দেবে এটা ভাই বুঝতে পারেনি।”
তাতেও সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মানতে নারাজ অভিযুক্ত পেসার। ২০১৩ আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে তাঁকে আর রাজস্থান রয়্যালসের সতীর্থ অঙ্কিত চহ্বাণকে বোর্ডের আজীবন নির্বাসনের শাস্তি ঘোষণার আকস্মিকতায় প্রথমে কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন ঠিকই। তাই হয়তো বলে দিয়েছেন, “বোর্ডের এই পদক্ষেপ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। হতাশ লাগছে খুব। আমি কোনও ভুল করিনি। একটাই সান্ত্বনা। জেলে নেই। বাড়িতে আছি।” শনিবার সকালে আবার তিনি টুইটও করেছেন, “প্লিজ আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ফেলতে পারব খুব তাড়াতাড়ি, এই বিশ্বাসটা এখনও রয়েছে। এই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসবই। ঈশ্বরের উপর আমার আস্থা রয়েছে।” |
তবে কেরলের পেসার বাইরে যাই বলুন না কেন, শ্রীসন্ত শিবির কিন্তু এখনই তড়িঘড়ি কিছু করতে চাইছে না। বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের পরই দেশজ মিডিয়ায় একটা অংশের দাবি ছিল এই নিয়ে কোর্টে যাচ্ছে শ্রীসন্তের পরিবার। তবে এখনও পর্যন্ত সে রকম কোনও ইঙ্গিত শ্রীসন্তের পরিবারের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি। আপাতত কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে তারাও। শ্রীসন্তের ভাই বলেন, “ও এখনই বোর্ডের শাস্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে না। দিল্লি কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে চায়। শ্রীসন্ত ছাড়াও অন্য রাজস্থান রয়্যালসের প্লেয়ারের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের মামলার শুনানি চলছে দিল্লি কোর্টে। পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ৭ অক্টোবর হতে পারে। আমরা নিশ্চিত দিল্লি পুলিশের সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবে শ্রীসন্ত। তাই ওই দিনের পরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।”
তাই হয়তো এই সময় তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ ইতিমধ্যে জানিয়ে রেখেছেন ‘শ্রী’। “ন’বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। এত দিন কোনও সমর্থন পাইনি। এ বার আশা করছি সমর্থন পাব। কিন্তু সেটা এখনও দেখতে পাচ্ছি না,” বলেছেন শ্রীসন্ত।
|