ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ‘ব্যাড বয়’ থেকে ফের ‘পোস্টার বয়’ ওয়েন রুনি। কয়েক দিন আগে অবধি যাঁর ক্লাবে থাকা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা, শনিবার তাঁর গোলের সাহায্যেই প্রিমিয়ার লিগে আবার জয়ের স্বাদ ফিরে পেল ডেভিড মোয়েসের দল। যার সাক্ষী ছিলেন ক্লাবের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। যিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডিরেক্টর বক্সে উপস্থিত ছিলেন নিজের প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য।
মাঠে নামার আগেই অবশ্য বিতর্ক তাড়া করেছিল রুনিকে। মাথায় চোট লাগায় দেশের হয়ে খেলতে পারেননি। আর সেই রুনিই আজ হেড গিয়ার লাগিয়ে নেমে পড়েন ক্লাবের হয়ে খেলতে।
শুধু মাঠে নামাই নয়, ক্রিস্ট্যাল প্যালেসকে নিজেদের ঘরের মাঠে ২-০ হারানোর পিছনেও বড় ভূমিকা ছিল রুনির। শনিবারের প্রিমিয়ার লিগে ম্যান ইউয়ের প্রথম দলে অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তনে দুর্দান্ত ফ্রি কিক উপহার দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রুনি। মাথায় হেডগার্ড পরেও সেই চেনা মেজাজেই পাওয়া যায় তাঁকে। এমনকী গোল করে সমর্থকদের দিকে পরিচিত ইঙ্গিত করে সেলিব্রেটও করেন তিনি। |
মোয়েস আজ মাঠ এবং মাঠের বাইরে, দু’জায়গাতেই পরীক্ষায় বসেছিলেন। মাঠে যদি তাঁর বিপক্ষে থাকেন ক্রিস্টাল প্যালেসের এগারো ফুটবলার, বাইরে পরীক্ষক ছিলেন স্বয়ং স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। প্রাক্তন ম্যানেজারের উপস্থিতিতে ঘরের মাঠে নিজের প্রথম ম্যাচ জিতে মোয়েস বলেন, “আশা করছি স্যর অ্যালেক্স খুব খুশি হবেন দলের খেলা দেখে। আজ আমরা ভাল খেলেছি। রুনি, ফান পার্সি সবার পারফরম্যান্সেই খুব খুশি আমি।” রুনি ছাড়াও এ দিন বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে যান ফান পার্সি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ম্যান ইউয়ের নতুন তারকা মারুয়ান ফেলাইনি।
|
বিপজ্জনক ওজিল
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গ্যারেথ বেলের জন্য রিয়াল মাদ্রিদ থেকে বিতাড়িত হলেও, নিজের নতুন ক্লাব আর্সেনালে জয় দিয়েই শুরু করলেন মেসুট ওজিল। শনিবার প্রিমিয়ার লিগে সান্ডারল্যান্ডকে ৩-১ হারিয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। যে জয়ের নায়ক ছিলেন ক্লাবের রেকর্ড সই ওজিল। প্রথমার্ধের শুরুতেই ওজিলের পাসে জিরু গোল করে ১-০ করেন। প্রথমার্ধে কোনও গোল না করলেও প্রচুর সুযোগ তৈরি করেন ওজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ক্রেগ গার্ডনার। ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত ভলি থেকে গোল করে আর্সেনালকে ২-১ এগিয়ে দেন আ্যারন র্যামসি। ৭৬ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে আর্সেনালের জন্য জয় নিশ্চিত করেন র্যামসি। নতুন ক্লাবের হয়ে অভিষেকের পরেই ওজিলের টুইট, “৩-১ গোলে জিতলাম। আমি খুব গর্বিত এ রকম একটা ভাল দলের সদস্য হতে পেরে।” পুরো ম্যাচে প্রায় একশোটার উপর পাস কমপ্লিট করেন ওজিল। এ ছাড়াও ওয়ালকট-জিরুর সঙ্গে যুগলবন্দিতে তছনছ করে দেন সান্ডারল্যান্ডের রক্ষণ। যে কারণে ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম ওজিল নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলছে— ‘আর্সেনালের দুর্যোগের সময়ে দলের নতুন স্পিরিট ওজিল।’
|
এটোর অভিষেকে হারল চেলসি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এটো: চেলসিতে ম্লান |
মেসুট ওজিল ও মারুয়ান ফেলাইনির মতোই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হল স্যামুয়েল এটোর। কিন্তু হারের স্বাদ পেয়েই কেরিয়ারের নতুন যাত্রা শুরু করলেন তিনি। এমনকী অভিষেকে ‘ওপেন নেট’ গোল করতেও ব্যর্থ হন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার। প্রিমিয়ার লিগে এ দিন এটোর নতুন ক্লাব চেলসির লড়াই ছিল এভার্টনের বিরুদ্ধে। ম্যাচের শুরুতেই রামিরেজের পাসে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন এটো। মাতা-হ্যাজার্ড-সুরলের যুগলবন্দিতেও গোল পায়নি হোসে মোরিনহোর দল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই সুবর্ণ সুযোগ ছিল চেলসির সামনে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে সুযোগ নষ্ট করেন এটো। এভার্টন গোলকিপারের ভুলে বল পেয়ে এটোকে পাস দেন সুরলে। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন বার্সেলোনার প্রাক্তন স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে নেইস্মিথের গোলে এভার্টন ১-০ এগিয়ে গেলেও বিরতির পর ম্যাচে সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ ছিল চেলসির। কিন্তু কোনও সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি মোরিনহোর টিম। ম্যাচের শেষ দিকে ফের্নান্দো তোরেসকে পরিবর্তে নামিয়েও মরসুমের প্রথম হার ঠেকাতে পারেননি ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। |