এসজেডিএ দুর্নীতি
এজলাসে সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলার শুনানি শুনতে এজলাসে সংবাদ মাধ্যমকে ঢুকতে দিল না পুলিশ। সোমবার শিলিগুড়ি আদালতে ঘটনাটি ঘটেছে। বিকেল ৪টে নাগাদ ওই মামলায় ধৃত বাস্তুকার এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্তা মিলিয়ে মোট ন’জন অভিযুক্তকে এজলাসে তোলা হয়। ওই সময়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে গেলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন। তবে আদালতের তরফে সংবাদ মাধ্যমকে ঢুকে নিষেধ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মী জানান, তাঁর কাছে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে বলেই তিনি সাংবাদিকদের ঢুকতে দেবেন না।
তবে সরকারি পক্ষের আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া জানান, এজলাসে সাংবাদিকদের ঢোকা নিষিদ্ধ এ রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, “সাংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এজলাসে থাকতেই পারেন। তাদের থাকার অধিকার রয়েছে। কেন নিষেধ করা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।” শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন জানান, আদালতে বিচারকের নির্দেশ মেনে পুলিশকর্মীরা কাজ করেন। সে জন্য তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে কমিশনার জানান।
এ দিন ধৃত ন’জনের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। সোমবার শিলিগুড়ি অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসজেডিএ সূত্রের খবর, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরি, বাগডোগরা, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশে গত মে মাসে এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদী। এর পর কয়েক দফায় এসজেডিএ’র তিন বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল এবং প্রবীন কুমারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পাল, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছেলে দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের সংস্থার কর্মী অমলকৃষ্ণ সাহা, অজয় মৈত্র, তাপস বসুকে। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ৪টি মামলা জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত এসজেডিএ’র তৎকালীন সিইও-কে পুলিশে গ্রেফতার করতে না পারায় তা নিয়ে এ দিনও এজলাসে সরব হন অভিযুক্তপক্ষের একাধিক আইনজীবী। মৃগাঙ্কবাবুর আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, “যে সমস্ত কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সমস্ত ক্ষেত্রে তৎকালীন সিইও’র সই রয়েছে। অথচ পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” তৎকালীন সিইও গোদালা কিরণ কুমার বর্তমানে মালদহের জেলাশাসক। তাঁকে ধরার জন্য ডিজি’র কাছে শিলিগুড়ি পুলিশের তরফে আবেদন করলেও তার উত্তর আসেনি। সে কারণে সমস্যায় পুলিশও। এ দিন অভিযুক্ত পক্ষের অপর আইনজীবী অভয় চট্টোপাধ্যায়ও এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, “তৎকালীন সিইও এবং চেয়ারম্যানকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।” আগেও একাধিকবার তৎকালীন সিইও এবং চেয়ারম্যানকে এই মামলায় গ্রেফতারের আবেদন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা করেছেন।

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.