মিনিডরের ধাক্কায় গুরুতর জখম পুলিশকর্মী ইন্দ্রজিৎ হালদারের (৫৫) মৃত্যু হল সোমবার সকালে। রবিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর আর জ্ঞান ফেরেনি ইন্দ্রজিৎবাবুর। রবিবার রাতেই তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল।
এ দিকে, ইন্দ্রজিৎবাবুর মৃত্যুর পরেই মিনিডরের চালক ধৃত সুমন্ত্র ঘোষের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রবিবার ঘটনাস্থল থেকেই ওই চালককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রবিবার বাগবাজার বাটার কাছে শ্যামবাজারগামী রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন শ্যামপুকুর থানার এএসআই ইন্দ্রজিৎ হালদার-সহ তিন পুলিশকর্মী। ওই সময়ে রাস্তার মাঝে ‘গার্ড রেল’-এর ডান দিক দিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রেলার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ‘গার্ড রেল’-এর বাঁ-দিকে একটি ছোট গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছিল। আচমকাই পিছন থেকে এসে বাঁদিক দিয়ে ট্রেলারটিকে ওভারটেক করতে যায় মিনিডরটি। তখনই বাঁদিকের ফুটপাথ ঘেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে সেটি ধাক্কা মারে ইন্দ্রজিৎবাবুকে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে ময়না-তদন্তের পর ইন্দ্রজিৎবাবুর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার শেষ কর্মস্থল শ্যামপুকুর থানা ও ডেপুটি কমিশনার (উত্তর)-এর অফিসে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কাজ যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রজিৎবাবু। গত বছর কনস্টেবল থেকে এএসআই হয়ে শ্যামপুকুর থানায় যোগ দেন তিনি। এর আগে তিনি সাউথ-ইস্ট ট্রাফিক গার্ড-সহ বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডে ছিলেন বলে লালবাজার সূত্রে খবর। |