শুক্রবার কিলকট চা বাগানের জট কাটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছিল জলপাইগুড়ি জেলা শ্রম দফতর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলা শ্রমদফতরে আয়োজিত বৈঠকে বাগানের একমাত্র শ্রমিক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ইউনিট নেতারা যোগ দেন। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে না আসায় মালিক পক্ষ বৈঠকে বসতে রাজি ছিল না। নিয়ম অনুসারে, শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে না আসায় বৈঠক এ দিন ভেস্তে যায়। ১১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোর্তিময় তাঁতি বলেন, “দ্রুত বাগান খোলাটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। সকলকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের বাগানের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁরা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। সংগঠনের বাগানের ইউনিট সম্পাদক রামচন্দ্র প্রজা বলেন, “সংগঠনের নেতারা বৈঠকে না আসায় আমরা হতাশ তাই। আমরা অন্য সংগঠনে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছি। সংগঠন বদল হলে আগামী ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সেই সংগঠনের প্রতিনিধিরা থাকবেন।” তবে প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স-এর চেয়ারম্যান শুক্রা মুন্ডা বলেন, “গেট মিটিং-সহ আন্দোলন বাগানের ইউনিট করছিল। আমাদের কিছু জানায়নি। ওঁরা সংগঠন বদল করে আমাদের কিছু করার নেই।” ৩০ অগস্ট থেকে বন্ধ কিলকট বাগান। বন্ধ বাগানে ১১০০ শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের বকেয়া পিএফ, নতুন শ্রমিক আবাস, পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, জ্বালানীর কাঠ, বকেয়া রেশন-সহ ১৪টি দাবি নিয়ে বাগানের শ্রমিকরা সরব হয়েছিলেন। এর পরেই বাগান ছাড়েন কর্তৃপক্ষ।
|
পুরনো খবর: ত্রিপাক্ষিক বৈঠক |