অবিরাম বৃষ্টিতে হাতি নালা উপচে বানারহাট এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা শান্তিপাড়া, হঠাৎ কলোনি সুভাষ নগর, স্টেশন রোড সহ বানারহাট চা বাগান এলাকার কয়েকশো বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। ওই সমস্ত এলাকার প্রতিটি বাড়িতে প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন বাসিন্দারা। বানারহাট শহরের রাস্তার উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। বানারহাটের পাশে রেল লাইনের একেবারে কাছে জল দাঁড়িয়ে পড়ায় ট্রেন চলাচলে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এ ডি আর এম বেনফিস লাকড়া বলেন, “লাইনের ক্ষতি হয়নি। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে। ধীর গতিতে এ দিন ট্রেন চলাচল করানো হয়েছে।”
|
বিন্নাগুড়িতে ছুটি হয়ে গিয়েছে স্কুল। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
ভুটান পাহাড়ের অবিরাম বৃষ্টির কারণে ও নালার নাব্যতা কমে যাবার ফলে সাত বছর ধরে বাসিন্দারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ। বানারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান পুনাই ওঁরাও বলেন, “দুর্গতদের ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নাব্যতা বাড়ানোর জন্য আমরা পূর্ত ও সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করব।” বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ওই সমস্ত এলাকায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। বানারহাটের পাশাপাশি এদিন বিন্নাগুড়ি ও ফালাকাটার বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাঠে এক হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিন্নাগুড়ির একটি স্কুল এদিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ভুটান পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফালাকাটা ব্লকের মুজনাই, ডুডুয়া,বিরকিটি নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। নদীর জল ঢুকে জটেশ্বর, গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে পড়ে। বানারহাটের সুভাষ নগর এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগমের কথায়, “রাতে আচমকা বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। শুক্রবার দিন ভর আমাদের উপোস করে কাটাতে হয়েছে।” |