শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) প্রাক্তন মুখ্য কার্যনিবার্হী আধিকারিক তথা মালদার জেলাশাসককে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে আদালতে ফের প্রশ্ন উঠল। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে এসজেডিএ-এর দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর পাল, অজয় মৈত্র ও তাপস বসুকে ফের হাজির করানো হয়। তাঁদের অন্য দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। মালবাজারে বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজে দুর্নীতির অভিযোগে তাপস বসু ও অজয় মৈত্রকে গ্রেফতার করা হয়। বাগডোগরায় বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ধরা হয় শঙ্কর পালকে।
এর পরে আদালত কক্ষে ধৃতদের দুজনের আইনজীবী তপেশ ভট্টাচার্য বলেন, “কেন এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন সিইওকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? সমস্ত কাজ তো তাঁদের উপস্থিতিতেই হয়েছে।” এ দিন শঙ্করবাবুর আইনজীবী অখিল বিশ্বাস আদালতে প্রশ্ন তোলেন, “একই কাজের জন্য ভিন্ন মামলায় কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে?” এ দিন তাঁদের জামিনের আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেয় আদালত। আদালতে বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন বলে গোড়া থেকেই জানিয়ে জানাচ্ছেন প্রাক্তন সিইও গোদালা কিরণ কুমার।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া আদালতে বলেন, “ধৃতরা বিভিন্ন ভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তাই আলাদা করে গ্রেফতার করা হয়েছে।” কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে এসজেডিএ এর বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার ইউরেকা ট্রেডার্স এর থেকে যে টাকা নিয়েছিলেন তা শঙ্কর পালের মাধ্যমে। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই কাজের সঙ্গে শঙ্করবাবু জড়িত নন বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। একই ভাবে ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নকল সই করে বরাত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন নিউ ইন্ডিয়ার দুই কর্ণধার। তাঁরা বেশি টাকার দরপত্র জমা দিয়ে সব কাজ গুলিই ইউরেকা ট্রেডার্সকে পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছিলেন অজয় মৈত্র ও তাপস বসু। কাজের কিছুটা ভাগও পেয়েছিলেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির অভিযোগে তিন বাস্তুকার সহ ও বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থার ছ’জনকে। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, জলপাইগুড়ির তৃণমূলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক ও তৃণমূলের কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকেও জেরা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, জেরা করা হয়েছে মালদার জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারকেও। এর আগেও আদালতে সিইও এর গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। |