পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্যানেলভুক্তদের পরে এ বার মৃতের পোষ্যদের চাকরির দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। কর্মরত অবস্থায় যে সরকারি কর্মচারীরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের আত্মীয়েরা চাকরির আর্জি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু দিন ধরে। তাঁদেরই কয়েক জন দ্বারস্থ হয়েছেন ফ ব-র যুব সংগঠন যুব লিগের। পোষ্য হিসাবে চাকরির দাবিদার বুবাই চক্রবর্তী, অজিত দেবনাথ, সমর বাগদের পাশে নিয়ে যুব লিগ নেতৃত্ব শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, পিএসসি-র মতোই এই দাবি নিয়েও তাঁরা পথে নেমে সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করবেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ফ ব-র রাজ্য দফতরে কনভেনশন থেকে এই বিষয়ে কর্মসূচি নেওয়া হবে।
রাজ্যের সব দফতর মিলিয়ে এখন প্রায় ২২ হাজার এমন ভুক্তভোগী রয়েছেন, যাঁদের পরিজনেরা কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। কেউ কেউ চাকরির আবেদন নিয়ে ৮-৯ বছর ঘুরে বেড়াচ্ছেন। খোঁজখবর নিয়ে ভুক্তভোগীরা জেনেছেন, এই মুহূর্তে কৃষি দফতরে ৩১৮, খাদ্য দফতরে ২২৫ এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরে ৪২২টি চাকরির ফাইল তৈরি আছে। তা সত্ত্বেও পোষ্যদের নিয়োগ হচ্ছে না। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর বক্তব্য, “রাজ্য সরকার পাপস্খালন বা মুখরক্ষার জন্য কিছু ক্ষেত্রে পোষ্যদের চাকরি দিচ্ছে। যেমন, গার্ডেনরিচে নিহত পুলিশকর্মী তাপস চৌধুরীর মেয়েকে দিয়েছে। কামদুনির পরিবারকেও দিতে গিয়েছিল। তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কাউকে দিলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাকিদের আবেদন গ্রাহ্য হবে না কেন?” নিয়মানুযায়ী, পোষ্যদের চাকরি বাধ্যতামূলক নয়। আর্থিক অবস্থা বিচার করে পোষ্যদের সহানুভূতির কারণে চাকরি দেওয়া হয়ে থাকে। ভুক্তভোগী বুবাইয়ের কথায়, “আমাদের আবেদন সবুজ সঙ্কেত পেয়ে যাওয়ার পরেও সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে কেন, জানতে চাই।”
শিল্পনীতি ঘোষণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় ৪১ লক্ষ চাকরি হওয়ার কথা। যুব লিগ নেতৃত্ব এ দিন বলেছেন, এক বছর পরে সত্যিই এত চাকরি বলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁরা গোলাপের তোড়া দিয়ে আসবেন! এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত সকলকে বেকার ভাতা দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি বঞ্চনা নিয়েও পুজোর পরে আন্দোলন হবে।
|