বাসন্তীর আরএসপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী |
দলীয় কার্যালয় থেকে ফেরার সময়ে বাড়ির অদূরে খুন হলেন বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি আরএসপি-র আবু বক্কর সিদ্দিকুল ইসলাম মোল্লা ওরফে মিন্টু ইসলাম (৪৫)। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ রামচন্দ্রখালি গ্রামের ঘটনা। আরএসপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই খুনের ঘটনায় জড়িত। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, ১৭ জনের নামে খুনের অভিযোগ করেছেন নিহতের ছেলে সাকিল আনসারি মোল্লা। অভিযুক্তেরা পলাতক। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শনিবার বাসন্তী ব্লক জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে জেলা বামফ্রন্ট।
স্থানীয় আরএসপি বিধায়ক সুভাষ নস্কর, দলের রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী, সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী-সহ বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার দক্ষিণ রামচন্দ্রখালি গ্রামে যায়। সুভাষবাবুর অভিযোগ, “মিন্টু ইসলামের নেতৃত্বে এই এলাকায় আরএসপি সংগঠিত হচ্ছিল। তাই তাঁকে খুন করল তৃণমূল।” অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। কী কারণে খুন বলতে পারব না। পুলিশকে বলব নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।”
বাড়ি ফেরার জন্য সোনাখালি বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ মোটরবাইক চালিয়ে বেরোন মিন্টু ইসলাম। কিছু ক্ষণ পরে একটি গুলির শব্দ পেয়ে তাঁর পড়শিরা বেরিয়ে দেখেন, বাড়ির অদূরে রাস্তায় ওই আরএসপি নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর বাঁ হাতের দু’টি আঙুলও কেটে দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় ভোর ৩টে পর্যন্ত দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। শেষে স্থানীয় এক আরএসপি নেতা তাঁদের বোঝানোর পরে পুলিশ দেহ তুলে ময়না-তদন্তে পাঠায়। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালেও বাসন্তীর নানা এলাকায় বিক্ষোভ-অবরোধ করেন আরএসপি কর্মী-সমর্থকেরা।
আরএসপি-র অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই মিন্টু ইসলামকে দল ছাড়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল। তা না করায় তাঁকে খুন করা হল। নিহতের ছেলে সাকিল আনসারিরও দাবি, “তৃণমূলের হুমকির কথা বাবা পুলিশকে জানিয়েছিল। তৃণমূলের লোকেরাই বাবাকে খুন করল।”
|