ফুটবলের স্বার্থে এ বার হাত মেলাল কলকাতার চার প্রধান। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান ও ইউনাইটেড স্পোর্টস মিলিতভাবে দু’টি অনুরোধ নিয়ে দ্বারস্থ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এক) চার ক্লাবের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য জমির অনুরোধ,
দুই) ১-১৫ অক্টোবর ময়দান বন্ধ রাখার নিয়ম পরিবর্তনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়া।
এএফসি-র নিয়মানুযায়ী, আই লিগের ক্লাবগুলোর নিজেদের স্টেডিয়াম থাকতেই হবে। ইউনাইটেড স্পোর্টস বাদে বাকি তিন প্রধানের স্টেডিয়াম থাকলেও তা সেনাবাহিনীর থেকে লিজ নেওয়া জমিতে। তাই ক্লাবের নিজস্ব স্টেডিয়াম তৈরির জন্য জমির আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিলেন চার প্রধানের কর্তারা। এছাড়া ক্লাবগুলো চায়, অক্টোবরের ভরা মরসুমের বদলে জুনের ১৫ দিন সেনাবাহিনী যেন ময়দান বন্ধ রাখে। কারণ, সে সময় ফুটবল মরসুম শুরু হয় না।
বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে চার প্রধানের কর্তাদের আলোচনার পর মহমেডান সভাপতি সুলতান আহমেদ বললেন, “জুনে ময়দান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যদি কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেন তবে হয়তো একটা রাস্তা বেরোতে পারে। দশ থেকে পনেরো হাজার সমর্থক বসে খেলা দেখতে পারে, এ রকম স্টেডিয়াম তৈরির জন্য যদি চার ক্লাবকে জমি দেয় সরকার, তবে কলকাতার ফুটবল বেঁচে যাবে।”
নতুন লিগ নিয়ে আইএমজি-র সঙ্গে আলোচনার আগে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি সাজাতে সেপ্টেম্বরের শেষে মিলিত হবে ক্লাব-জোট। উল্লেখ্য, নতুন লিগ নিয়ে আলোচনার জন্য ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়েছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “ক্লাব-জোট ফেডারেশনের বিরোধীতা করার জন্য তৈরি হয়নি। তবে ফেডারেশনকেও তো ক্লাবের কথা ভাবতে হবে। আমরা ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সব সময় ফেডারেশনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।” এ দিকে কলকাতা লিগের জন্য এ দিন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান মাঠ পরিদর্শনে এসেছিল পূর্ত দপ্তর, আইএফএ ও পুলিশের প্রতিনিধি দল। ইস্টবেঙ্গলকে সবুজ সঙ্কেত দিলেও, বাকি দুই ক্লাব নিজেদের মাঠে ম্যাচ করতে পারবে না।
|