ফেডারেশনের ক্লাব-লাইসেন্স বাতিল করা নিয়ে এ বার ভাঙন ধরল ক্লাব-জোটেই! কলকাতার ক্লাবগুলির সঙ্গে মতের অমিল তৈরি হয়েছে গোয়া-পুণের ক্লাবগুলির।
সালগাওকর, ডেম্পো, পুণে এএফসি’র কর্তারা যখন ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে সুর নরম করেছেন, তখন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান, ইউনাইটেড স্পোর্টস ভারতের মতো অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দেশে ফেডারেশনের দেওয়া শর্তগুলি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল।
এএফসি’র নিয়ম মানতে ব্যর্থ হওয়ায় আই লিগের সব ক্লাবকেই বাতিল ঘোষণা করেছে ফেডারেশন। তবে জানানো হয়েছে, ক্লাবের তরফে ফেডারেশনের কাছে আবেদন জানালে, এএফসি’র সব শর্ত পূরণ করার জন্য অতিরিক্ত এক বছর সময় দেওয়া হবে। সালগাওকরের সচিব রাজ গোমস যেমন বললেন, “আমরা ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছি। এক বছরের মধ্যেই এএফসি’র যাবতীয় নিয়ম মেনে পরিকাঠামো বদলে ফেলার চেষ্টা করব। ফেডারেশন যা চাইছে সেটা অযৌক্তিক নয়।”
রাজের সঙ্গে এক মত হতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার। দেবব্রতবাবুর দাবি, “ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল পটেলকে ইস্টবেঙ্গলে এসে পরিকাঠামো দেখে যেতে অনুরোধ জানাব। আমাদের মতো পরিকাঠামো ভারতের আর কোনও ক্লাবে নেই। তাও বলব, ফেডারেশন যেমন গরিব, তেমন ক্লাবগুলোও তো গরিব। এর পরেও যদি ফেডারেশন আমাদের বাতিল করে, তা হলে অ্যামেচার লিগ খেলব। পেশাদার লিগ নাই বা খেললাম!” মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রও বললেন, “আমরা ম্যান ইউ, লিভারপুল নই। বাস্তব চিন্তা করতেই হবে। রাতারাতি সব পালটে দেব বললেই কি পালটানো যায়?’’
কলকাতার দুই প্রধানের থেকে একেবারেই আলাদা মত শ্রীনিবাস ডেম্পো এবং চিরাগ তন্নার। ডেম্পো প্রধানের মতে, “ফেডারেশন ভারতীয় ফুটবলকে পেশাদার করতে চাইছে। আমাদেরও সেই রাস্তায় হাঁটা উচিত।” পুণে এফসি’র অন্যতম কর্তা চিরাগ তন্নাও মেনে নিচ্ছেন ফেডারেশনের দাবি। “আমরা ফেডারেশনের কাছে আবেদন করব। যা খামতি রয়েছে এক বছরের মধ্যে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।” উল্টো দিকে মহমেডানের সভাপতি সুলতান আহমেদের সাফ কথা, “ফেডারেশনের সাহায্য ছাড়া এএফসি’র সব শর্ত মানা সম্ভব নয়।” ইউনাইটেড স্পোর্টসের কর্তা নবাব ভট্টাচার্যও বললেন, “রাতারাতি ইউরোপীয় ফুটবলের মত পরিকাঠামো তৈরি করা কি সম্ভব? আমরা তো দল করার জন্যই স্পনসর পাচ্ছি না।”
এই মতবিরোধের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে ক্লাবগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসছে। সেখানে আদৌ কোনও সমাধান সূত্র বেরোয় কি না, সেটাই দেখার।
অবসর ভেঙে মাঠ ফিরছেন বিজয়ন: প্রায় সাত বছর পর আবার মাঠে ফিরতে চলেছেন আইএম বিজয়ন। ডুরান্ড কাপের হাত ধরে। কেরল পুলিশের হয়ে ডুরান্ড খেলার কথা বিজয়নের।
শেষ ২০০৫-’০৬ সালে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন। এত বছর বাদে অবসর ভেঙে তাঁর মাঠে ফেরার কারণ কী? বিজয়ন বললেন, “ফুটবলের টানেই আবার মাঠে ফিরছি। আমি তো কলকাতার ক্লাবে খেলতেও আগ্রহী।” বিজয়নের এই অবসর ভেঙে মাঠে ফেরা আরও একবার প্রমাণ করল, বয়স শুধু মাত্র একটা সংখ্যা।
|