শুধু আইন প্রয়োগ করে কিছু হয় না। দরকার সচেতনতার। ছোট ইলিশ যাতে বিক্রি না করেন তার জন্য মৎস্যজীবীদের সচেতন হতে হবে। ছোট ইলিশ না কেনার জন্য সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেও। বুধবার বিকেলে দিঘা মোহনায় ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক সচেতনতা শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাবেই বোঝালেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, “ইলিশ উৎপাদন গত কয়েক বছরে কমে যাওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উদ্বিগ্ন। সচেতনতা বাড়তে তাই শিবির, পদযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে।” মৎস্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। |
সভায় মৎস্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও ইলিশ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একটি গবেষণাগার গড়ার উদ্যোগ চলছে।” অনুষ্ঠানে দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রণবকুমার কর বলেন, “ব্যাপক হারে ছোট ইলিশ ধরা আর অবৈজ্ঞানিক ও ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে সমুদ্রে মাছ শিকারের ফলে মৎস্যজীবীদের জীবিকাও সঙ্কটের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মৎস্যজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে।” অনুষ্ঠানে বিধায়ক অখিল গিরি, বনশ্রী মাইতি, জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, মৎস্য অধিকর্তা ভরতচন্দ্র শাহ, রামনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার, কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ জানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের আগে দিঘা শহর থেকে মোহনা পর্যন্ত সচেতনতা পদযাত্রা হয়।
|