মোদী, মমতার পথে ফেসবুকে নীতীশও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নরেন্দ্র মোদী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এবার ফেসবুকের পাতায় আসতে চলেছেন নীতীশ কুমারও। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে এবার কাজে লাগাতে চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও। খুব দ্রুত সরকারি ভাবে ওই পাতাটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করা হবে বলে বিহার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।
দিন দু’য়েক আগেই নীতীশের বিরুদ্ধে টুইটারে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যেরই বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। |
|
ক্ষিপ্ত নীতীশ কুমার নাম না করে মোদীর বিরুদ্ধে বলেন, টুইট মানে কিচিরমিচির। যা পাখীদের সাজে। রাজনীতিকদের নয়। কার্যত টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার একটি মাধ্যমের উদ্দেশ্যে বক্রোক্তি করলেও ফেসবুকের প্রভাব যে দিনে দিনে যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে তা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন নীতীশও। তাই বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে ফেসবুককে নতুন এক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন নীতীশও।
ফেসবুকের দুনিয়ায় নীতীশের আত্মপ্রকাশ দেরিতে হলেও গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন। নীতিগত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কিংবা কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে দল তথা সরকারের মনোভাবে প্রতিফলন মাঝে মধ্যেই তুলে ধরতে দেখা যায় নেতা-নেত্রীদের। রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এতে রাজ্য প্রশাসন বা দলের মতামত অনায়াসে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় এক বৃহত্তর জনগণের কাছে। কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহের টুইটের প্রত্যুত্তোরে সুষমার রিটুইই বা আডবাণীর ব্লগের মাধ্যমে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা-এই ধাঁচের ভাচুর্য়াল আকচাআকচিও অতি পরিচিত ঘটনা। তাই প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নতুন নীতি হাতে নিতে শুরু করেছে। |
পুরনো খবর: নেট -জালে জড়সড় মায়াবতী ও মুলায়ম, ব্যতিক্রম মমতা |
|