|
|
|
|
কেন্দ্রের আর্জি খারিজ, সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ, বিধায়কেরা বিপাকে
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ফৌজদারি মামলায় দু’বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনও জনপ্রতিনিধির সংসদ বা বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিল। তবে কোনও জনপ্রতিনিধি গ্রেফতার হলেই তার ভোটে লড়ার অধিকার বাতিল হয়ে যাবে কি না, সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১০ জুলাই সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে রায় দিয়েছিল বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক এবং বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৪) ধারাটি আদৌ সংবিধানসম্মত কি না, তা নিয়ে বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু ওই আইনেরই ৮(৪) ধারায় বলা হয়েছে, সাজা ঘোষণার সময় যদি কেউ জনপ্রতিনিধি থাকেন, তা হলে পরবর্তী তিন মাস বা উচ্চতর আদালতে সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদনের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে না। বেঞ্চের মত ছিল, এটা ধারাটিই অসাংবিধানিক (ultra vires) এবং সাজা ঘোষণার দিন থেকেই সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এ-ও বলেছিল যে, নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া যে সব সাংসদ-বিধায়ক উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন, তাঁরা এই রায়ের আওতায় আসবেন না।
এই রায় ঘোষণা হওয়ায় স্বভাবতই বিপাকে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলি। রায় যাতে কার্যকর না হয় তাই তড়িঘড়ি একটি সংশোধনী বিল আনার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেন্দ্র। সব রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন জানিয়েছিল। কারণ বিভিন্ন দলের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর হলে তা অপব্যবহারের একটাআশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যে কেউই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে বিপক্ষ দলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা মামলা করতে পারে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই হরিয়ানার স্বতন্ত্র পার্টির প্রেসিডেন্ট রমেশ দালাল সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন। ওই মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। বিষয়টি এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। যত দিন না এর নিষ্পত্তি হচ্ছে তার আগে একই বিষয়ে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে আজ বলা হয়েছে, “কোনও সাধারণ নাগরিক জেলে গেলে তাঁর ভোট দেওয়ার অধিকার থাকে না। অথচ, কোনও জনপ্রতিনিধি জেল থেকে ভোটে লড়তে পারে এ কেমন আইন? ” |
পুরনো খবর: শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদ -বিধায়কদের রক্ষাকবচ কাড়ল কোর্ট |
|
|
|
|
|