|
|
|
|
আসারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এ বার ঘুষেরও
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় খারিজ হয়ে গেল আসারাম বাপুর জামিনের আবেদন। যৌন নিগ্রহ এবং জমি কেলেঙ্কারির পাশাপাশি এ বার ঘুষের অভিযোগও উঠল এই মামলায়। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির সরাসরি আসারাম বাপুর দিকে নয়, তাঁর সমর্থকদের দিকে।
জোধপুর পুলিশ বুধবার আদালতে জানিয়েছে, আসারামকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর সমর্থকরা পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকী ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ পি লাম্বাকে হুমকি দিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে মঙ্গলবার। তিনি আসারামের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রধান তদন্তকারী অফিসার। চিঠিটি উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে বলেই পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ।
জোধপুর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চঞ্চল মিশ্রও সংবাদমাধ্যমের কাছে এই হুমকি-চিঠির কথা উল্লেখ করেন। তিনি এ-ও জানান, শনিবার তাঁরা যখন ইনদওরের আশ্রমে আসারামকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন, তখনই কিছু আসারাম-ভক্ত তদন্তকারী অফিসারদের হুমকি দিয়েছিল এবং কয়েক জন পুলিশকে ঘুষও দিতে চেয়েছিল।
এ পি লাম্বা অবশ্য গত কালই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের তদন্ত শেষ। নির্যাতিতা কিশোরীর বয়ান-সহ যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আসারামের বিরুদ্ধে পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ রাজস্থানের আদালতে আসারামের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালতের স্পষ্ট যুক্তি, আসারাম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তিনি এই মামলাটিকে এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। জামিনের আর্জিতে আসারামের কৌঁসুলি কে কে মেননের অবশ্য দাবি ছিল, পুলিশি তদন্তের উপর সংবাদমাধ্যম চাপ সৃষ্টি করেছিল। চাপে পড়ে তাড়াহুড়োয় এফআইআর করেছে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি ছিল, অভিযোগকারিণী মেয়েটি মোটেই নাবালিকা নয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিতও হয়নি।
এ দিন জামিন খারিজ হওয়ার পর রাজস্থান পুলিশের তরফের আইনজীবী বলেন, “এটা প্রমাণ হল, যে আইনের চোখে সবাই সমান।”
জোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসারামের খাতির-যত্নের ছবিটা অবশ্য অন্য রকম। আজ জেল সূত্রের খবর, আসারামের ঘুমোনোর জন্য বিশেষ বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর খাবারও আলাদা করে রান্না করা হচ্ছে জেল কর্তাদের বাড়িতে। এমনকী, আসারামের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া দুই আসারাম-সমর্থককে ব্যক্তিগত পরিচারক হিসেবে তাঁর সঙ্গেই রাখা হয়েছে জেলে। গত কালই গঙ্গাজল না মিশিয়ে জল খাবেন না বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এ দিন আবার তাঁর আবদার, স্নানের জন্যও গঙ্গা জল চাই তাঁর। জেল কর্তৃপক্ষ সেই দাবিও মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
|
পুরনো খবর: গঙ্গাজল নেই, জেলের জলপানে নারাজ আশারাম |
|
|
|
|
|